Mamata Banerjee: ‘কাঁচা বাদাম পাকা বাদামে তো কত নাচগান করেছেন’, সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য বিকৃতি নিয়ে সরব মমতা
Raj-Subhashree: সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন বিষয়ে ট্রোল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন কিছুদিন আগের একটি ঘটনার কথা। তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রীর ছেলে ইউভানের একটি ভিডিয়ো নিয়ে ব্যাপক ট্রোলিংয়ের শিকার হন এই তারকাদম্পতি।
কলকাতা: জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যা প্রকাশের মঞ্চ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানাবিধ মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, তিনি কোনও নিজস্ব মতামত দিলেও সেটাকে বিকৃত করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘পাকু দ্য গ্রেটরা যখন যা ইচ্ছে তাই বলে’। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি ইদানিং লক্ষ্য করছি যদি একটা নিজস্ব মতামতও দিই সেটাকে নিয়ে বিকৃত কথা বলা হচ্ছে। চায়ে পে চর্চা হোনে পে বাত নেহি হোতা। যদি বলা হয় তুমি নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য… । কাঁচা বাদাম পাকা বাদামের কত নাচগান করেছেন, তা মানুষ যদি সমর্থনই না করত তা হতো কোথা থেকে? পাকু দ্য গ্রেটরা যখন যা ইচ্ছে তখন তাই বলে। ওদের জন্য গানটা আমার তোলা থাকল। টাকডুমাডুম টাকডুমাডুম টাকডুমাডুম ডুম। মা এসেছেন, মা এসেছেন, এসেছে আনন্দের ধুম।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে এক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “এক হাজার টাকা জোগাড় করুন। একটা কেটলি কিনুন। কয়েকটা মাটির ভাঁড় কিনুন। দেখবেন কেমন চা বিক্রি হয়। তারপর কয়েকদিন যাওয়ার পর মা-কে বলুন একটি ঘুগনি করে দিতে, একটু আলুর দম করে দিতে। এই তো পুজো আসছে সামনে। দেখবেন, লোককে দিয়ে কুলোতে পারবেন না। আজকাল এত বিক্রি আছে। কোনও কাজ জীবনে ছোট নয়। একটু খেটে খেতে হবে, শরীরে নাম মহাশয়।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে সমালোচনায় সরব হয় বিরোধীরা। জায়গায় জায়গায় বিজেপির যুব মোর্চা চপ, ঘুগনির দোকান দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানায়। তাদের বক্তব্য, রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। তাই এসব উপদেশ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে সরব হয় সিপিএমও।
View this post on Instagram
একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন বিষয়ে ট্রোল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন কিছুদিন আগের একটি ঘটনার কথা। তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রীর ছেলে ইউভানের একটি ভিডিয়ো নিয়ে ব্যাপক ট্রোলিংয়ের শিকার হন এই তারকাদম্পতি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শুভশ্রীর বাচ্চাটা খুব স্মার্ট। আমি নিজেই মাঝেমধ্যে ছবি চেয়ে পাঠাই দেখার জন্য। একটা কী ছবি বের হল তা নিয়েও সমালোচনার ঝড়। আমরা কি সংস্কৃতির অবক্ষয়ে দাঁড়িয়ে আছি? আমাদের তো মাথা উঁচু করে চলা, গর্ব করে চলা সংস্কৃতি। এটা আমাদের বাংলার মানুষ করছে না। বাইরে থেকে ধার নেওয়া কিছু লোক, কিছু ডিজিটাল টাকা দিয়ে তৈরি করেছে। সোশাল নেটওয়ার্ককে রেসপেক্ট করি। কিন্তু এর নামে এমন কেউ নেই উল্টোপাল্টা বলে না। তারা যদি বাংলায় কী উন্নয়ন আছে, কী কী বাংলায় ভাল কাজ আছে, বাংলায় কোথায় কী ভাল কাজ আছে, সেইগুলো নিয়ে একটু দৃষ্টি দিতেন আরও ভাল উন্নয়ন শোভা পেত সারা ভারতবর্ষ সারা পৃথিবী জুড়ে।”