কলকাতা: গত কয়েকদিনে দফায় দফায় চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছে কলকাতা। এবার সেই চাকরি প্রার্থীদের কাছে গেল মুখ্যমন্ত্রীর ফোন। মঙ্গলবার ঈদের সকালে পুলিশ আধিকারিক মারফৎ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেন বলে দাবি চাকরি প্রার্থীদের। মূলত ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে যে অবস্থান চলছে, সেখানেই এই ফোন যায় বলে সূত্রের খবর। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে অবস্থানরত এক আন্দোলনকারী জানান, “উনি ফোন করেছিলেন। উনি আমাদের পজিটিভ বার্তা দিয়েছেন। সহানুভূতির সঙ্গে উনি দেখবেন বলেছেন। ঈদের দিন আমরা এভাবে অসহায় হয়ে পড়ে রয়েছি, তাই উনি বলেছেন দেখবেন। নিজের হাতে উনি ব্যাপারটা নিয়েছেন। শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে উনি দেখবেন বলেছেন।”
মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাননি, এমন অভিযোগ তুলে ধর্মতলায় গান্ধিমূর্তির পাদদেশে এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীরা যেমন দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, একইভাবে ধর্মতলার মোড়ে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে অবস্থানে বসেছেন শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষার চাকরি প্রার্থীরা। ২০১৬ সালে পাশ করেছেন এরকম ১৩০০র বেশি চাকরি প্রার্থী আন্দোলনে নেমেছেন। ২৬ দিন ধরে ঝড়, জল, দাবদাহকে উপেক্ষা করেই অবস্থানে তাঁরা।
ঈদের সকালে তাঁদের সঙ্গেই ডিসি সাউথ আকাশ বাগারিয়ার ফোন মারফৎ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবস্থানকারীদের দাবি, হঠাৎই এই পুলিশ কর্তা এসে তাঁদের জানান, মুখ্যমন্ত্রী ফোনে কথা বলতে চান তাঁদের সঙ্গে। সেই ফোনেই আন্দোলনকারীরা কথা বলেন। এক বিক্ষোভকারীর কথায়, “আমরা যারা প্যানেলে রয়েছি, তাঁদের প্রতি মানবিক হয়েছেন। আমাদের সমস্যার যাতে তাড়াতাড়ি সমাধান হয় তার সদর্থক বার্তা দিয়েছেন। উনি বলেছেন, ‘তোমাদের বিষয়টা আমি নিজেই দেখছি। আমি নিয়োগের ব্যবস্থা করছি’।”
আরেক চাকরি প্রার্থীর কথায়, “আমরা অনেকটাই আশার আলো দেখছি। দিদির সঙ্গে তো আগে এভাবে কথা হয়নি। আমরা খুশি। তবে যতক্ষণ না নিয়োগের নোটিস হচ্ছে ততদিন একটু আতঙ্কে থাকব।” একইসঙ্গে তাঁরা জানালেন, এখনই আন্দোলন উঠছে না। নিয়োগের কাগজ পেলে তারপরই আন্দোলন তোলা হবে। তাঁদের কথায়, “আমরা এই ধরনামঞ্চ থেকেই কাউন্সেলিংয়ের নোটিস হাতে নিয়ে যেতে চাই।”