Farmers of West Bengal: অকাল বৃষ্টিতে মাইকিং-এর অভাব? কৃষকদের দুর্দশার দায় আবহাওয়া দফতরের দিকেই ঠেলছেন কৃষিমন্ত্রী
Sovandeb Chatterjee: কৃষকদের এই দুর্দশা নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে পর্যাপ্ত প্রচার কর্মসূচির অভাবকেই দায়ি করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এবার পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে আবহাওয়া দফতরকেই দুষছেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বাংলায় বৃষ্টির বিষয়ে সেভাবে কোনও আগাম ঘোষণাই ছিল না আবহাওয়া দফতর থেকে।
কলকাতা: ডিসেম্বরের শুরুতে কয়েক দিনের ‘অকাল বৃষ্টি’। আর তার জেরেই মাথায় হাত কৃষকদের। একাধিক জেলায় আলু চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। চাষের জমিতে জল জমে গিয়েছে। কৃষকদের এই দুর্দশা নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে পর্যাপ্ত প্রচার কর্মসূচির অভাবকেই দায়ি করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এবার পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে আবহাওয়া দফতরকেই দুষছেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বাংলায় বৃষ্টির বিষয়ে সেভাবে কোনও আগাম ঘোষণাই ছিল না আবহাওয়া দফতর থেকে।
অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলায় দুর্যোগের সম্ভাবনার কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করেছে। প্রচার চলেছে। মাইকিং হয়েছে গ্রামে গ্রামে। সচেতন করা হয়েছে কৃষকদের। কিন্তু এবার তাহলে কী সমস্যা হল? বর্ষীয়ান মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বললেন, “এ বার প্রথম ঘোষণা হল, বৃষ্টি নামার আগের দিন। সেদিন একমাত্র ঘোষণায় বলা হল, যে পরের দিন ৯৫ শতাংশ বৃষ্টি হতে পারে। সেটিই একমাত্র ঘোষণা ছিল। তার আগে পর্যন্ত বলা হয়েছিল, দক্ষিণবঙ্গ খুব একটা প্রভাবিত হবে না এর জন্য। বৃষ্টির জন্য কোনও ঘোষণাই ছিল না।”
উল্লেখ্য, দুর্যোগে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিকবার সরব হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। বার বার প্রশ্ন তুলেছেন, কেন সরকারের তরফে পর্যাপ্ত প্রচার করা হয়নি। সরকারের তরফে ঠিকঠাক প্রচার করা হলে, কৃষকদের এমন দুর্দশার মধ্যে পড়তে হত না বলেই দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। এবার সাংবাদিক বৈঠক করে উল্টে আবহাওয়া দফতরের দিকেই আঙুল তুললেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।