Exclusive Saugata Roy: ‘রাষ্ট্রপুঞ্জে যখন আমাদের লোকেরা গিয়েছে আমাকে কেউ পাঠায়নি’, তবে কি ‘অভিমানী’ সৌগত?

Saugata Roy: এতদিন ধরে তৃণমূলে থাকলেও কোথাও যেন সংগঠনে আড়ালেই থেকে গিয়েছেন সৌগত রায়। অন্তত তাঁর বক্তব্যের ভাঁজে সে সুর প্রচ্ছন্ন।

Exclusive Saugata Roy: 'রাষ্ট্রপুঞ্জে যখন আমাদের লোকেরা গিয়েছে আমাকে কেউ পাঠায়নি', তবে কি 'অভিমানী' সৌগত?
সাংসদ সৌগত রায়। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 17, 2022 | 6:51 PM

কলকাতা: ২০০১ সালে তৃণমূলে (TMC) যোগ দেন সৌগত রায় (Sougata Roy)। দীর্ঘ ২১ বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সঙ্গে তাঁর যোগ। সাংসদ, বিধায়কের মতো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি পোড় খাওয়া। এই রাজনীতিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনেকের থেকেই অনেক বেশি। তাঁর বাগ্মিতাও প্রশংসিত। তবু সংগঠনে সে অর্থে কোনওদিনই তাঁর গাল ভরা কোনও পদ ছিল না। বহু নতুন মুখ এখন যেখানে দলের ‘ওজনদার’ পদে, এমনকী তাঁর সঙ্গে রাজনীতি শুরু করা বহু নেতা যখন মন্ত্রী-সান্ত্রী, তখন তিনি শুধু সাংসদ হিসাবেই থেকে গিয়েছেন। কোথাও খারাপ লাগা কাজ করে না? টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সৌগত রায়ের জবাব, “আমার দু’টো কাজ। লোকসভা কেন্দ্রে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং লোকসভায় সক্রিয়ভাবে দলের মতামত তুলে ধরা। এই দু’টো কাজ সমস্ত সময় নিয়ে নেয়। বাড়তি সময় থাকে না।” কিন্তু সত্যিই কি তাই? তাঁর পরামর্শ ছাড়াই যখন তাঁর সংসদীয় এলাকায় কোনও বড় সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, তাঁকে বাদ দিয়েই যখন রাষ্ট্রপুঞ্জে তৃণমূল প্রতিনিধি পাঠায়, কোথাও কি কোনও খারাপ লাগা কাজ করে না?

সৌগত রায়ের কথায়, “আমার খুব সীমিত কাজ। আমি একটা কেন্দ্রের সাংসদ। সেখানকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করি। তবে এখানেও যে আমার খুব কথা চলে এমন নয়, আমার কথায় পুরসভায় মনোনয়ন হয় এমন নয়। আমার কথা অনুযায়ী চেয়ারম্যান হয় এমনও নয়। কিন্তু সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমি যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করি।” একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “আমার আরও একটা কাজ আছে। লোকসভায় আমার একটা ভূমিকা আছে। কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার সাংসদ আমি। এর বাইরে দলও আমাকে কোনও দায়িত্ব দেয়নি, এতেই আমার সময় চলে যায়। বেশি কিছু আর করার সুযোগ পাই না।” একই সঙ্গে সৌগত রায়ের সংযোজন, “সংসদে আমি কোনও পদে নেই। আমি তো লোকসভায় দলের নেতা নই। আমি কোনও কমিটির চেয়ারম্যান নই। আমি দলের প্রতিনিধি হিসাবে বিদেশে কখনও কোথাও ঘুরতে যাইনি। এমনকী রাষ্ট্রপুঞ্জেও যখন আমাদের লোকেরা গিয়েছে আমাকে কেউ পাঠায়নি।”

অর্থাৎ এতদিন ধরে তৃণমূলে থাকলেও কোথাও যেন সংগঠনে আড়ালেই থেকে গিয়েছেন সৌগত রায়। অন্তত তাঁর বক্তব্যের ভাঁজে সে সুর প্রচ্ছন্ন। তবে পরিস্থিতি যাই হোক তৃণমূল ছেড়ে অন্য কোনও দল করার কথা তিনি ভাবেন না এ কথাও স্পষ্ট করেছেন। কিছুদিন আগেই সংসদে অধিবেশন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে রাজ্যপালকে সরানোর বিষয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন সৌগত রায়।

সৌগত রায়েরই বক্তব্য ছিল, পাল্টা প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেছেন, সাংসদ পদ থেকে যেদিন তিনি অবসর নেবেন, সেদিন রাজ্যপালকে সরানো হবে। সে প্রসঙ্গ টেনে এনেই সৌগত রায় বলেন, “২০০১ সালে আমি তৃণমূলে যোগ দিই। একুশ বছর হল। আমি একদিনের জন্য অন্য দলে যাইনি, যাওয়ার চিন্তাও করিনি। অনেকেই আমার কাছে বিজেপিতে যাওয়ার কথা জানতে চায়। আমার বক্তব্য খুব পরিষ্কার। মরে যাব তবু বিজেপিতে যাব না। এটা কোনও রাজনৈতিক সুবিধার ব্যাপার নয়। ধর্ম নিরপেক্ষতা আমার মৌলিক বিশ্বাস। সেখানে কোনও আপোস নয়। মোদী বলেছিলেন, ‘আপনি অবসর নিন তারপর এখানে রাজ্যপাল বদল করব’। কোনও সময় বিজেপির দেওয়া কোনও সুযোগ সুবিধা আমি নেব না। এটাও নীতিরই ব্যাপার।”

আরও পড়ুন: Exclusive Saugata Roy: বাবুল-শত্রুঘ্নকে কী কারণে প্রার্থী করেছে তৃণমূল, ফাঁস করলেন সৌগত রায়