AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jodhpur Park: চাঁদার জুলুম খাস কলকাতায়! কফি শপের মালিককে হেনস্থা

Extortion: অভিযোগকারী জানান, প্রথমেই ওই যুবকরা তাঁর হাত থেকে মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন। শুরু হয় টাকার জন্য জোর জবরদস্তি।

Jodhpur Park: চাঁদার জুলুম খাস কলকাতায়! কফি শপের মালিককে হেনস্থা
এই কফিশপের মালিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ।
| Edited By: | Updated on: Feb 17, 2022 | 6:04 PM
Share

কলকাতা: শহরে চাঁদার জুলুমবাজির শিকার তরুণী। একটি জলসার জন্য চাঁদা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গোলমালের সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। বুধবার রাতে লেক থানা (Lake Police) এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে ওই তরুণী একটি কফি শপের (Coffee Shop) মালিক। চাঁদার দাবিতে তাঁকে একদল যুবক হেনস্থা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। যুবতীর অভিযোগ, বেশকিছু দিন ধরেই একদল যুবক জলসার চাঁদা বাবদ টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু ওই তরুণী সেই টাকা দিতে চাননি। অভিযোগ, এরপরই বুধবার রাতে আচমকাই তাঁক যোধপুর পার্কের (Jodhpur Park) কফিশপে ১০-১২ জন যুবক এসে চড়াও হন। অভিযোগকারী জানান, প্রথমেই ওই যুবকরা তাঁর হাত থেকে মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন। শুরু হয় টাকার জন্য জোর জবরদস্তি। অভিযোগ, টাকা না দিলে কফি শপে ভাঙচুর চালানোর হুমকিও দেয় ওই যুবকরা। এমনকী অভিযোগকারী তরুণীকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই বুধবার রাতে লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। এদিকে থানা থেকে বেরোতেই ওই তরুণীকে ফের ওই যুবকেরা ঘিরে ধরে। এরপর লেক থানায় ফোন করলে পুলিশ এসে ওই তরুণী ও তাঁর বন্ধুদের উদ্ধার করে। এরপরই মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারী।

এ প্রসঙ্গে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আমার কাছে একটা ফোন আসে। অভিযোগকারী জানান, কিছুক্ষণ আগে একদল ছেলে এসে তাঁকে হুমকি দিয়েছে, চাঁদা চেয়ে জুলুমবাজি করেছে। ওনাদের কথা অনুযায়ী, মনে হয় ৫০ হাজার টাকা চেয়েছে। কিন্তু সে টাকা তাঁরা দিতে পারেননি। ওনারা বলেছিলেন, লকডাউনে ব্যবসা মার খেয়েছে। এরপর ওই যুবকরা চলে যায়। পরে ফের সন্ধ্যাবেলায় আসে ওরা। এসে বাজে ব্যবহার করে এবং বলে যদি চাঁদা না দেয় তা হলে এখানে ব্যবসাই করতে দেবে না। দোকান ভেঙে দেবে। অন্যান্য ক্ষতিও করে দেবে বলে হুমকি দিয়েছে। এই ফোনটা আমার কাছে আসার পরই প্রথম কাজ হয় থানায় যোগাযোগ করা। আমি সরাসরি থানার ওসিকে ফোন করি। উনি ফোন ধরেন এবং বলেন ওনাদের থানায় আসতে বলুন, আমি আছি।” এরপরই থানায় যান ওই তরুণী ও তাঁর বন্ধুরা।

লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, প্রতি মুহূর্তের খবরাখবরই ওই তরুণী তাঁকে দিচ্ছিলেন। রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের কথায়, “আমি ওনাদের সঙ্গেই ছিলাম। ওনারা যখন যাদবপুর থানার কাছে পৌঁছন তখন জানান দু’জন বাইকে চেপে এসে তাঁদের রাস্তায় আটকান। এরপর ফের আমি থানায় যোগাযোগ করি। ওনারা নিশ্চিন্তেই বাড়িতে ফেরেন।” এই ঘটনায় স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে।

লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “শহর কলকাতা আমাদের ভীষণ নিরাপত্তার জায়গা। আমরা নিজেরাও কাজ করে অনেক রাতে বাড়ি ফিরি। আমরা চাই প্রতিটি মেয়ে নিরাপদে বা ড়ি ফিরুক। যদি কোথাও কোনও নিরাপত্তার অভাব হয় সঙ্গে সঙ্গে রুখে দাঁড়ানো উচিৎ। এই কেসটার তদন্ত রিপোর্টও চাইবই, সঙ্গে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির দাবিও করব।”

আরও পড়ুন: Cattle Smuggling Case: গরু পাচারকাণ্ডে এবার দেবের ছবির প্রোডিউসারকে তলব সিবিআইয়ের