Justice Amrita Sinha: ‘কারা ভোট দিচ্ছে! মানুষের মনে সংশয় বাড়ছে’, পঞ্চায়েত মামলায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি সিনহা

Panchayat Election: কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, 'একই ধরনের অভিযোগ উঠছে একাধিক মামলায়।' আদৌ সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

Justice Amrita Sinha: 'কারা ভোট দিচ্ছে! মানুষের মনে সংশয় বাড়ছে', পঞ্চায়েত মামলায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি সিনহা
বিচারপতি অমৃতা সিনহাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2023 | 6:43 PM

কলকাতা: ভোটের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় পড়ে রয়েছে ছাপ মারা ব্যালট। এমন একাধিক অভিযোগে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এমন মামলা এত বেশি হয়েছে, যাতে মানুষের মনে সংশয় বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। হুগলির জাঙ্গিপাড়ার মামলায় মঙ্গলবার বিডিও-র ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। ব্যালট রাস্তায় পড়ে রয়েছে জানার পরও তদন্তের প্রয়োজন মনে হল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আগামী ১৩ অগস্ট জাঙ্গিপাড়ার বিডিওকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জাঙ্গিপাড়া ব্লকের ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েতে অভিযোগ উঠেছিল, ২৯টি বুথের ২২টিতে সিপিএম ও আইএসএফকে জয়ী ঘোষণা করা হলেও কোনও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। পরে তৃণমুল প্রার্থীকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ভোটের পর ব্যালট পেপার রাস্তায় পড়েছিল বলেও অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। সেই মামলায়, জাঙ্গিপাড়ার বিডিও রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছেন, এটি প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব। ব্যালটে অফিসারের সই মেলেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রিপোর্ট দেখে বিচারপতি বলেন, ‘তথ্য দেখে মনে হচ্ছে বিডিও তাঁর দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছেন। রিপোর্টে মিথ্যে তথ্য দিচ্ছেন।’ কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘একই ধরনের অভিযোগ উঠছে একাধিক মামলায়।’ আদৌ সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। কমিশনের আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘বিডিও নিজেই জানিয়েছেন যে তিনি ব্যালট ইস্যু করেছিলেন। সেগুলো অন্যত্র পাওয়া গেলে তদন্তের প্রয়োজন মনে হল না কেন?’

বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন স্পষ্ট বলেন, ‘আদালত কাউকে সমর্থন করে না, কারও বিপক্ষেও কথা বলে না। শুধু আইন রক্ষা করে। এখানে বিডিওর উত্তরে সন্তুষ্ট নই।’ তিনি জানান, রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে, প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা না বলেই রিপোর্ট তৈরি করেছেন বিডিও।