কলকাতা: দিনে দুপুরে বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বেহালার পর্ণশ্রীতে। একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তরজা। অভিযোগ, কারখানার সামনে চায়ের দোকান খোলা নিয়ে বচসা হয়। এর জেরেই কারখানার মালিক বন্দুক তুলে ওই চা বিক্রেতার দিকে ধেয়ে যান। কোনওভাবেই তিনি কারখানার সামনে চায়ের দোকান চালাতে দেবেন না বলে অভিযোগ। সে কারণেই এই ‘দাদাগিরি’। যদিও ওই কারখানার মালিকের দাবি, তাঁর দিকে প্রথমে শাবল নিয়ে ধেয়ে এসেছিল চা বিক্রেতা। প্রাণ বাঁচাতেই তিনি লাইসেন্সধারী বন্দুকটি বের করেন। জানা গিয়েছে, ওই কারখানার মালিকের নাম দেবাশিস চক্রবর্তী। পর্ণশ্রী এয়ারপোর্ট কালচারাল মাঠ চত্বরে তাঁর কারখানা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবাশিস চক্রবর্তীর সংস্থায় প্লাস্টিক তৈরি করা হয়। লকডাউনের সময় এই উৎপাদন অনেকটাই কমে যায়। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই জায়গায় অন্য নির্মাণ হবে। অন্যদিকে এলাকারই যুবক বিট্টু দাস কারখানার সামনের রাস্তায় একটি চায়ের দোকান চালান। বিট্টুর দাবি, লকডাউনে তিনি এক জায়গায় কাজ করতেন। সেই কাজ চলে যাওয়ার পর দোকান খোলেন। প্রথমে দেবাশিস চক্রবর্তী এই দোকান নিয়ে কোনও সমস্যার কথা জানাননি। তবে ইদানিং বারবার বিট্টুকে দোকানটি তোলার জন্য চাপ দিতে থাকেন।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে দেবাশিস চক্রবর্তী বিট্টুর দোকানের সামনে আসেন। ফের দোকান তোলার কথা বলেন। সেই সময় দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, এরইমধ্যে দেবাশিস চক্রবর্তী পকেট থেকে ব্যক্তিগত বন্দুক বের করে বিট্টুর দিকে তাক করেন। দেবাশিস চক্রবর্তীর দাবি, “আমার এলাকার মধ্যে ফুটপাথ দখল করে একটি ছেলে দোকান খুলেছে। বেআইনি ব্যবসা চালাচ্ছে। সিগারেট, বিয়ার, গাঁজা রাখে ছেলেটি। রাতে ছেলে মেয়েরা এখানে এসে ভিড় করে। পাড়ার লোকেরাও এ নিয়ে বিরক্ত। আমার কারখানায় দাহ্য পদার্থ ভরা। যে কোনও সময় আগুন লেগে যেতে পারে। এতে এলাকার বড় ক্ষতি হবে। তখন তো আমার ঘাড়ে দায় এসে পড়বে। আমি ছেলেটাকে দিনের পর দিন বলছি শোনে না।” দেবাশিস চক্রবর্তী বন্দুক বের করার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “আমাকে দোকানদার শাবল দিয়ে মারতে গিয়েছিল। নিজের প্রাণ বাঁচাতে লাইসেন্স বন্দুক বের করি। আত্মরক্ষার্থে এটুকু করতেই পারি আমি।”
বিট্টু দাসের দাবি, “আমার ৮-৯ বছরের গুমটি দোকান রয়েছে। কিন্তু চাকরি করতাম বলে সেটা বন্ধ ছিল। লকডাউনে চাকরি চলে যায়। এরপর রাস্তা খুঁজে না পেয়ে ফুটপাথে এসে বসি। আমি দোকানটা যখন ঠিকঠাক করলাম তখন কিন্তু একবারও কেউ কিছু বলেননি। কারখানার মালিকও বলেননি। এখন এসব বলছেন। খুব কষ্ট করে দোকানটা খুলেছি। এখন এটা বললে কী ভাবে হবে।”
কলকাতা: দিনে দুপুরে বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বেহালার পর্ণশ্রীতে। একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তরজা। অভিযোগ, কারখানার সামনে চায়ের দোকান খোলা নিয়ে বচসা হয়। এর জেরেই কারখানার মালিক বন্দুক তুলে ওই চা বিক্রেতার দিকে ধেয়ে যান। কোনওভাবেই তিনি কারখানার সামনে চায়ের দোকান চালাতে দেবেন না বলে অভিযোগ। সে কারণেই এই ‘দাদাগিরি’। যদিও ওই কারখানার মালিকের দাবি, তাঁর দিকে প্রথমে শাবল নিয়ে ধেয়ে এসেছিল চা বিক্রেতা। প্রাণ বাঁচাতেই তিনি লাইসেন্সধারী বন্দুকটি বের করেন। জানা গিয়েছে, ওই কারখানার মালিকের নাম দেবাশিস চক্রবর্তী। পর্ণশ্রী এয়ারপোর্ট কালচারাল মাঠ চত্বরে তাঁর কারখানা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবাশিস চক্রবর্তীর সংস্থায় প্লাস্টিক তৈরি করা হয়। লকডাউনের সময় এই উৎপাদন অনেকটাই কমে যায়। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই জায়গায় অন্য নির্মাণ হবে। অন্যদিকে এলাকারই যুবক বিট্টু দাস কারখানার সামনের রাস্তায় একটি চায়ের দোকান চালান। বিট্টুর দাবি, লকডাউনে তিনি এক জায়গায় কাজ করতেন। সেই কাজ চলে যাওয়ার পর দোকান খোলেন। প্রথমে দেবাশিস চক্রবর্তী এই দোকান নিয়ে কোনও সমস্যার কথা জানাননি। তবে ইদানিং বারবার বিট্টুকে দোকানটি তোলার জন্য চাপ দিতে থাকেন।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে দেবাশিস চক্রবর্তী বিট্টুর দোকানের সামনে আসেন। ফের দোকান তোলার কথা বলেন। সেই সময় দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, এরইমধ্যে দেবাশিস চক্রবর্তী পকেট থেকে ব্যক্তিগত বন্দুক বের করে বিট্টুর দিকে তাক করেন। দেবাশিস চক্রবর্তীর দাবি, “আমার এলাকার মধ্যে ফুটপাথ দখল করে একটি ছেলে দোকান খুলেছে। বেআইনি ব্যবসা চালাচ্ছে। সিগারেট, বিয়ার, গাঁজা রাখে ছেলেটি। রাতে ছেলে মেয়েরা এখানে এসে ভিড় করে। পাড়ার লোকেরাও এ নিয়ে বিরক্ত। আমার কারখানায় দাহ্য পদার্থ ভরা। যে কোনও সময় আগুন লেগে যেতে পারে। এতে এলাকার বড় ক্ষতি হবে। তখন তো আমার ঘাড়ে দায় এসে পড়বে। আমি ছেলেটাকে দিনের পর দিন বলছি শোনে না।” দেবাশিস চক্রবর্তী বন্দুক বের করার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “আমাকে দোকানদার শাবল দিয়ে মারতে গিয়েছিল। নিজের প্রাণ বাঁচাতে লাইসেন্স বন্দুক বের করি। আত্মরক্ষার্থে এটুকু করতেই পারি আমি।”
বিট্টু দাসের দাবি, “আমার ৮-৯ বছরের গুমটি দোকান রয়েছে। কিন্তু চাকরি করতাম বলে সেটা বন্ধ ছিল। লকডাউনে চাকরি চলে যায়। এরপর রাস্তা খুঁজে না পেয়ে ফুটপাথে এসে বসি। আমি দোকানটা যখন ঠিকঠাক করলাম তখন কিন্তু একবারও কেউ কিছু বলেননি। কারখানার মালিকও বলেননি। এখন এসব বলছেন। খুব কষ্ট করে দোকানটা খুলেছি। এখন এটা বললে কী ভাবে হবে।”