Namkhana Physical Assault Case: নামখানাকাণ্ডেও দময়ন্তীতে ভরসা হাইকোর্টের, না হলে সিবিআই নিয়ে ভাবনাচিন্তা
Namkhana: গত ৪ এপ্রিলের ঘটনা। বছর চল্লিশের এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পর তাঁকে অ্যাসিড মেরে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।
কলকাতা: গত কয়েকদিনে রাজ্যে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। নামখানা, নেত্রা, শান্তিনিকেতন পিংলা, ময়নাগুড়ি— সর্বক্ষেত্রেই অভিযোগ পৌঁছেছে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দরজা পর্যন্ত। শুক্রবারই এই সমস্ত মামলার একত্রিত শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে। সেখানেই নামখানা মামলার সওয়াল-জবাব চলাকালীন প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই ঘটনা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। তাই এই ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তভার দময়ন্তী সেনকে দেওয়া হোক। তবে একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, যদি দময়ন্তী সেন (Damayanti Sen) এই তদন্তভার না নিতে চান, সেক্ষেত্রে সিবিআইকে দিয়ে এই তদন্ত করানো যায় কি না তাও দেখা হবে। এর আগে মাটিয়া, দেগঙ্গা, ইংরেজবাজার, বাঁশদ্রোণী ধর্ষণ মামলার নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয় দময়ন্তী সেনকে। হাইকোর্টই এই ভার দেয়। এবার নামখানার তদন্তেও দুঁদে আইপিএস দময়ন্তীর নজরদারি চায় আদালত।
গত ৪ এপ্রিলের ঘটনা। বছর চল্লিশের এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায়। এই ঘটনার পর তাঁকে অ্যাসিড মেরে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার বক্তব্য ছিল, তাঁদের ঘরে আগে থেকেই অভিযুক্তরা লুকিয়ে ছিলেন। রাতে ওই মহিলা শৌচাগারে যাওয়ার জন্য উঠলে তাঁকে তিনজন চেপে ধরেন। ঘরের ভিতর নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করা হয়। সেই মামলারই শুনানি চলছিল এদিন আদালতে।
প্রধান বিচারপতির এজলাসে নামখানার ঘটনার কেস ডায়েরি জমা দেওয়া হয় শুক্রবার। পরিবার প্রথম থেকেই এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। যদিও এদিন আদালতে রাজ্য জানায়, পুলিশ তদন্ত করছে না এমন অভিযোগ কেউ করেনি। তদন্তের ভিডিয়োগ্রাফিও হচ্ছে। তবে প্রধান বিচারপতি রাজ্যের বক্তব্যে সন্তুষ্ট নন। এই তদন্তের দায়িত্বও দময়ন্তী সেনকে নেওয়ার কথা বলেন তিনি। তবে দময়ন্তী সেন দায়িত্ব না নিলে, সেক্ষেত্রে সিবিআইকে ভার দেওয়া যায় কি না ভাবা হবে বলেও আদালতের পর্যবেক্ষণ।
আরও পড়ুন: UK PM Boris Johnson: মোদীতে মুগ্ধ বরিস, শুক্রবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নজর বিশ্বের