TET Recruitment: প্রাথমিকে নিয়োগের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ পর্ষদ
Calcutta High Court: হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ গত ২৬ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দিয়েছিল ৩ হাজার ৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ গত ২৬ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দিয়েছিল ৩ হাজার ৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেটের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালে দ্বিতীয় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই সময় ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু মামলাকারীদের দাবি ছিল, আরও শূন্যপদ রয়েছে এবং সেই মতো নিয়োগের দাবিতে মামলা করা হয়েছিল হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। মামলা চলাকালীন দেখা যায় আরও ৩ হাজার ৯২৯টি শূন্যপদ রয়েছে। সেই শূন্য পদগুলিতে নিয়োগের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে দুইবার নিয়োগ হয়েছিল। প্রথম দফায় ২০১৬ সালে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই সময় প্রায় ৪২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল চাকরিপ্রার্থীদের। পরে ২০২০ সালে আরও ১৬ হাজার ৫০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের দাবি ছিল, আরও শূন্যপদ রয়েছে যেগুলিতে নিয়োগ হয়নি। কেন সেই শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়নি, তা নিয়ে মামলা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন, বিচারপতি জানিয়েছিলেন, কেন ওই শূন্যপদে নিয়োগ হয়নি, তা স্পষ্ট নয়। রাজ্যের কাছে হলফনামা পেয়েও তা পাওয়া যায়নি। এমন অবস্থায় বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য। আগামী ১১ নভেম্বর ওই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেই দিন পর্ষদের তরফে আদালতকে বিশদে রিপোর্ট জানানোর কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
