AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Primary Recruitment: কোর্টের রায়ের পর দ্রুত নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভে ২০০৯ সালের চাকরি প্রার্থীরা

Primary: ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বের হয়। তখন টেট পরীক্ষা হতো না। প্রশিক্ষণও বাধ্যতামূলক ছিল না। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১০ সালে জেলা ভিত্তিক পরীক্ষা হয়।

Primary Recruitment:  কোর্টের রায়ের পর দ্রুত নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভে ২০০৯ সালের চাকরি প্রার্থীরা
নিয়োগের দাবিতে সরব প্রার্থীরা।
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2022 | 11:32 PM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফের হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে চাকরি। আর সেই চাকরি পেতে চলেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালে প্রাথমিকে সফল পরীক্ষার্থীরা। দু’ সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ শুরুর নির্দেশ হাইকোর্টের। তবে চাকরি প্রার্থীরা আর অপেক্ষা করতে নারাজ। দ্রুত নিয়োগপত্র হাতে পেতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বা ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের (DPSC) বাইরে অবস্থানে বসেন তাঁরা। প্যানেল প্রকাশের দাবিতে বালিগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন ডিপিএসসির সামনে বিক্ষোভ দেখান বৃহস্পতিবার। শুক্রবার সকালের মধ্যে প্যানেল প্রকাশ করা না হলে ফের বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

১৩ বছরের অপেক্ষার অবসান। দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের পরীক্ষার্থীদের জন্য সুখবর শোনাল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবারই দু’ সপ্তাহের মধ্যেই নিয়োগ শুরুর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি কৃষ্ণা রাও-এর ডিভিশন বেঞ্চ।

২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বের হয়। তখন টেট পরীক্ষা হতো না। প্রশিক্ষণও বাধ্যতামূলক ছিল না। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১০ সালে জেলা ভিত্তিক পরীক্ষা হয়। পরে তৃণমূল সরকার এসে সেই পরীক্ষা বাতিল করে দেয় বলে অভিযোগ। ফের লিখিত পরীক্ষা, ইন্টারভিউ হয় ২০১৪ সালে। কিন্তু নানা জটিলতায় উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মালদহ জেলায় আটকে ছিল নিয়োগ।

মাস কয়েক আগেই ভাগ্যের শিঁকে ছেড়ে তিন জেলার। বাকি ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে জটিলতাও কাটল। নিয়োগ বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয় আদালত। মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, ২০০৯ সালের নিয়োগ নীতি অর্থাৎ মাধ্যমিক পাশ করলেই প্রাইমারি টিচার হওয়া যেত, সেই নিয়ম মেনে ১৮০০র বেশি আসনে দু’ সপ্তাহের মধ্যে প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আন্দোলনকারীদের দাবি, “আদালতের নির্দেশ মোতাবেক দু’ সপ্তাহের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে হবে এবং প্যানেল প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। আমরা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চাই।” চাকরিপ্রার্থীরা আশাবাদী, এই নিয়োগ ঠেকাতে কখনওই রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যাবে না। তবু নিয়োগপত্র তাড়াতাড়ি দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বাইরে অবস্থান শুরু চাকরি প্রার্থীদের। আন্দোলনকারীদের একজন জানান, “১৩ বছর ধরে অপেক্ষা করে বসে আছি। আমরা হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়েছি। এবার আর অপেক্ষা করতে চাই না। শুক্রবারই আমরা নিয়োগপত্র হাতে চাই।”