Primary Recruitment: ২ সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ শুরুর নির্দেশ, আদালতে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য

Primary Recruitment: নিয়োগ বাতিলের যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার, বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

Primary Recruitment: ২ সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ শুরুর নির্দেশ, আদালতে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য
ছবি সৌজন্যে : টিভি৯বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2022 | 5:15 PM

কলকাতা: ১৩ বছর ধরে নিয়োগের দাবিতে লড়াই চলছিল। অবশেষে এল জয়। অন্য়ান্য জেলা থেকে নিয়োগ হলেও, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ তুলে মামলা হয়েছিল। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পেলেন সেই চাকরি প্রার্থীরা। ১৮৩৪ শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ২ সপ্তাহের মধ্যে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। নিয়োগ বাতিলের যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার, বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি কৃষ্ণা রাও-এর ডিভিশন বেঞ্চ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ২০০৯ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের তরফে। এদিন আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তৈরি নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। আদালতের দাবি, যাঁদের প্যানেলভুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের নাম প্রকাশ করা দরকার, না হলে মামলাকারীরা জানতে পারবেন না তাঁদের অবস্থান। গুরুতর বেনিয়মের অভিযোগে আগেই পদক্ষেপ করেছিল আদালত। সেই অনুযায়ী উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মালদহ জেলা আগেই নির্দেশ মতো নিয়োগ করেছে। এবার দু সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ শুরু করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

অভিযোগ ছিল, ২০০৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রার্থীদের নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়নি। এদিন মামলা শেষে চাকরি প্রার্থীরা জানান, মেধার ভিত্তিতে তালিকা প্রকাশ হয়েছিলেন তাঁরা। আর মেধার ভিত্তিতেই তাঁদের নিয়োগ হবে।

২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০১০ সালে পরীক্ষা হয়। ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। সরকার বদলের পর ২০১০ সালের সেই নিয়োগ প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। ২০১২ সালে আবার পরীক্ষা হয়। এরপর সব জেলার নিয়োগ হলেও, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে প্রাথমিকে কোনও নিয়োগ হয়নি। তাই চাকরির দাবিতে সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই চাকরিপ্রার্থীরা ধর্মতলায় ধরনা শুরু করেন। এরপর হাইকোর্টে শুনানি শেষ হলে অবস্থান তুলে নেন তাঁরা।

অন্যদিকে, যাঁরা প্রার্থী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন। এদিন আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরির ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক ছিল না।