কলকাতা: সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিঃশর্তে কোভিড টিকাকরণ (Covid Vaccine) কর্মসূচিতে অংশ নিতে চাইছে শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলি (Private Hospital)। এদিন এই নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের সঙ্গে এই নিয়ে একটি বৈঠক করেন কলকাতার প্রথম সারির বেসরকারি হাসপাতালের সিইও-রা। রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের কর্তারা জানান, তাঁরাও নিজেদের হাসপাতালের কর্মীদের ও বাকি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের টিকা দিতে চান। এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, “সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলিও এগিয়ে এসেছে তাঁদের কর্মচারী ও আশেপাশের মানুষজনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য। এর জন্য তাঁরা অতিরিক্ত কোনও অর্থ নেবেন না। সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের আবেদনে তাঁরা সাড়া দিয়েছেন এবং বিরাট এই কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রেখেই এই প্রক্রিয়া আমরা কার্যকর করব।”
এদিনে বৈঠকে কলকাতার প্রায় সকল প্রথম সারির বেসরকারি হাসপাতালের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁরা সকলেই এই বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছেন। কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য বড় বেসরকারি হাসপাতালে সেশন সাইট তৈরি করা হবে টিকাপ্রদানের জন্য। রাজ্যের কাছে থেকেই বিনামূল্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলি ভ্যাকসিন নেবে। প্রথমে তারা নিজেদের কর্মচারীদের, এবং পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষকেও ভ্যাকসিন দিতে পারবে। যে হাসপাতালগুলির কর্মচারী সংখ্যা ৫০০-র বেশি, আপাতত তাদেরকেই ভ্যাকসিন টিকাকরণের সুযোগ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কেবল টিকাকরণ প্রক্রিয়াই নয়, ১৬ তারিখে কো-উইন অ্যাপেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
অন্যান্য ছোট হাসপাতালের কর্মীরাও চাইলে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন বেসরকারি হাসপাতালের সেশন সাইটে। যারা টিকাকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, তাঁদের রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রশিক্ষণ দিয়ে নেবে বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তা।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ ডিসেম্বর দেশজুড়ে প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে। তবে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালে টিকাকরণ সেদিন থেকে শুরু হচ্ছে না। সেটা হতে ‘আরও একটু সময় লাগবে’ বলে অজয় চক্রবর্তী জানান। তাঁর কথায়, “বেসরকারি হাসপাতালগুলি এদিন বলেছে তারা প্রস্তুত। কিন্তু তাঁদের আগে জায়গা নির্দিষ্ট করতে হবে, সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখব। যারা ভ্যাকসিন দেবেন তাঁদের ট্রেনিংও দিতে হবে। আমরা সন্তুষ্ট হলে তবেই ছাড়পত্র দেব।”
আরও পড়ুন: ‘ভারতীয়রা গিনিপিগ নয়’, কোভ্যাকসিনের বৈধতা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ কংগ্রেসের