Partha Chatterjee: ‘মরে গেলে বিচার করে কী হবে স্যর?’ ভারাক্রান্ত মনে আদালতে কেন এ কথা বললেন পার্থ

Partha Chatterjee: পার্থর বয়ানে তাঁর আইনজীবী বলেন, 'জামিন চাইছি না। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে একটি মেডিক্যাল আবেদন করছি। পা ফুলেছে। চোখের অবস্থাও ভাল না। একটা প্রপার মেডিক্যাল ট্রিটমেন্টের আবেদন করছি।'

Partha Chatterjee: 'মরে গেলে বিচার করে কী হবে স্যর?' ভারাক্রান্ত মনে আদালতে কেন এ কথা বললেন পার্থ
পার্থ চট্টোপাধ্যায়।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 30, 2023 | 4:14 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) মঙ্গলবার গ্রুপ সি মামলায় (Group C Case) পেশ করা হয়েছিল আলিপুরে সিবিআই বিশেষ আদালতে। পার্থর শরীর যে খুব একটা ভাল নেই, সেই কথা এদিন আদালতে জানান তাঁর আইনজীবী। তবে জামিনের আবেদন করেননি তাঁর আইনজীবী। পার্থর বয়ানে তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘জামিন চাইছি না। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে একটি মেডিক্যাল আবেদন করছি। পা ফুলেছে। চোখের অবস্থাও ভাল না। একটা প্রপার মেডিক্যাল ট্রিটমেন্টের আবেদন করছি।’

সিবিআই বিশেষ আদালতে এদিন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে এভাবেই কাতর আর্তি জানাতে দেখা যায় পার্থকে। নিজের শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে আবারও আদালত কক্ষে সরব হলেন পার্থ ও তাঁর আইনজীবী। বিচারকের কাছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘স্যর, আমি আপনাকে একটা কথা বলতে চাইছি। সুপার লিখে দিচ্ছেন একটি নির্দিষ্ট হাসপাতাল। সেই হাসপাতাল রিপোর্ট ব্যাক করছে ১০ দিন পর। একটা লোক আক্রান্ত হবে, আর ১০ দিন পর দেখবে! দেখুন স্যর, মেরে ফেলে বিচার কি হবে? মরে গেলে আর বিচার কি হবে? ৩০০ দিনের উপরে হয়ে গেল স্যর।’

উল্লেখ্য, এর আগে গত মার্চ মাসে এক ভার্চুয়াল শুনানির সময়েও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে অনেকটা একই ধরনের কথা শোনা গিয়েছিল। তখনও তিনি বলেছিলেন, ‘যদি মরেই যাই, তাহলে আর বিচার করে কী হবে!’ সেদিনও ভার্চুয়াল শুনানিপর্বে অনেকটা একই গোছের শারীরিক সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, তাঁর পা ফুলে গিয়েছে। এমনকী সেই সময়েও জেলবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ সুবিধার অসুবিধার কথা বলেছিলেন তিনি। মাস খানেক পেরিয়ে আবারও আদালতে সেই একই ধরনের কথা বলতে দেখা গেল পার্থকে। এবার অবশ্য ভার্চুয়ালি নয়, সশরীরে হাজিরা দিয়েই সে কথা জানালেন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়।