Sougata on Partha: ‘যা হয়েছে, তার জন্য পার্থ নিজেই দায়ী, ষড়যন্ত্র আবার কী?’, অপসারিত সতীর্থকে খোঁচা সৌগতর
ED: ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, তাঁদের ভাবতে লজ্জা লাগে, পার্থ তাঁদের সতীর্থ।
কলকাতা: ক্রমেই তৃণমূলে কোণঠাসা হচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সমস্ত পদ থেকে অপসারণ, মন্ত্রিত্ব থেকে ‘অব্যাহতি’র পর এবার পুরনো সতীর্থদের কটাক্ষের মুখে পার্থ। বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারণের কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘোষণার পরই ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, তাঁদের ভাবতে লজ্জা লাগে, পার্থ তাঁদের সতীর্থ। আর শুক্রবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বলেন, যা ঘটছে তার জন্য পার্থ নিজেই দায়ী।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। কিন্তু কার ষড়যন্ত্র? সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি এখনও। তবে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এদিন বলেন, “আমি শুনেছি। এ কথার কোন মানেই হয় না। পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রত্যক্ষভাবে ইডির দ্বারা গ্রেফতার হয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহিলার কাছ থেকে অনেক টাকা উদ্ধার হয়েছে। ওনাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যা হয়েছে তার জন্য উনি নিজেই দায়ী। ষড়যন্ত্র আবার কী?”
বৃহস্পতিবারই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিল্প মন্ত্রী, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এবং পরিষদীয় মন্ত্রীর পদ সরিয়ে দেওয়া হয়। এদিনই তৃণমূল ভবনে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দলের মহাসচিব, শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি, জাগো বাংলার সম্পাদক, জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য-সহ যে সমস্ত পদে পার্থ আছেন, সমস্ত থেকে তাঁকে অপসারিত করা হল। একইসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানিয়ে রাখেন, যদি পার্থ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন, তা হলে ফেরার পথ তাঁর জন্য খোলা থাকবে।
এদিন ভবনের বৈঠকে ছিলেন ফিরহাদ হাকিমও। তৃণমূলের প্রথম দিন থেকে ফিরহাদ, পার্থ, সৌগতরা। দলের সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরই ফিরহাদকে বলতে শোনা যায়, “আমি একটা কথাই বলতে পারি, এই ঘটনাটায় আমরা সকলে ব্যথিত। এটা আমরা কেউ প্রত্যাশা করিনি। সত্যি সত্যি পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমাদের কলিগ, আমরা লজ্জিত এই অবস্থায়। আমি আশা করব এখনও সঠিক তদন্ত হবে এবং সত্যতা সামনে আসুক। যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আমরা চিনতাম, এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর মিল খুঁজে পাচ্ছি না।”