কলকাতা: শিক্ষক ঠিকমতো পড়াচ্ছিলেন না। অভিযোগ, পড়ানোর বদলে ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ কথাবার্তা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিতে আগ্রহ ছিল বেশি। এরপরই মাস চারেক আগে ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে টিউশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই শিক্ষকের বাড়ি ছাত্রীর বাড়ির পাশেই। অভিযোগ, টিউশন বন্ধ করে দেওয়ার পর রাস্তাঘাটে ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করা শুরু করেন শিক্ষক। যার জেরে বাগুইআটির ওই ছাত্রীর পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার শিক্ষককে গ্রেফতার করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। ছাত্রীর দাবি, সে বারবার শিক্ষককে সতর্ক করেছিল। কিন্তু তারপরও সংযত হননি তিনি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বুধবারই ওই ছাত্রীর পরিবার পুলিশে অভিযোগ জানায়। ছাত্রীর কথায়, শিক্ষকের পড়ানোর থেকে তার প্রতি আগ্রহ বেশি ছিল। বাধ্য হয়েই পরিবার শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ, এরপরই স্কুলে কিংবা রাস্তায় যে কোনও কারণে ওই ছাত্রী একা বেরোলেই নোংরা কথাবার্তা বলতে শুরু করেন শিক্ষক। যদিও অভিযুক্তের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ওই ছাত্রীর কথায়, “স্যর ঠিকমতো পড়াচ্ছিলেন না। মা ওনার কাছে পড়ানো বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে আমি স্কুলে গেলে বা টিউশন পড়তে গেলে উনি আমাকে উত্যক্ত করেন। ব্যাগ ধরে টানাটানি করেন, আজেবাজে কথা বলেন। আমাকে বলেন ব্যালকনিতে আসতে। উনি বলেন, আমাকে না দেখলে ওনার ভাল লাগে না।” দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। ছাত্রীর গলায় হতাশার সুর, “পরের বছর বোর্ডের পরীক্ষা। এমনিতেই পড়াশোনার এত চাপ। তার মধ্যে উনি এত বিরক্ত করেন। রোজ রোজ এই এক জিনিস। উনি শিক্ষক। কিন্তু উনি সম্মান পাওয়ার মতো কাজ করলে তবে তো ওনাকে সম্মান করা যায়। উনি এরকম করবেন আমি ভাবতেও পারছি না।”
পুলিশি অভিযোগে ওই ছাত্রীর পরিবার উল্লেখ করে, ‘আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম শিক্ষক হয়ত ভুল করে এরকম করছেন। পরে জানতে পারি আমাদের মেয়ের এক বন্ধুকেও বাজে মেসেজ করে। আমাদের মেয়ের নামে বাজে কথা লিখে পাঠায়। তাও কিছু বলিনি। মেয়েকে কিছুদিন আগে ফোন করে বলছে ব্যালকনিতে আসতে। না হলে মন ভাল লাগে না স্যরের। এসব কথায় মেয়ের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে।’ এরপরই ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Bankura BJP: ‘মাসোহারা দিতে পারিনি তাই…’, পদ থেকে বাদ পড়তেই ‘গোঁসা’ করে বললেন বিজেপি নেতা