কলকাতা: আগামী চারদিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। রবিবারই হাওয়া অফিস তার ইঙ্গিত দিয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, সোমবার সকাল ১১টার পর কলকাতাতেও গরম হাওয়া অনুভূত হবে। এর সঙ্গে তাপপ্রবাহের খুব একটা পার্থক্য থাকবে না। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে গেলে তবে তাপপ্রবাহের কথা বলে হাওয়া অফিস। এক্ষেত্রে ৪০ না ছুঁলেও তাপমাত্রার পারদ যে ভালই চড়বে, এদিন সকাল থেকেই তা টের পাওয়া যাচ্ছে। বেলা ১টার পর সবথেকে বেশি গরম অনুভূত হবে। সোমবার বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়ায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে আরও চারটি জেলায় অর্থাৎ মোট সাত জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি বদলের কোনও সম্ভাবনাই নেই আপাতত।
সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন। রাস্তায় বেরোতেই হচ্ছে মানুষকে। কিন্তু এই গরমে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনাও। প্রচুর জল খেতে বলছেন ডাক্তাররা। নুন, চিনির জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে কারও রক্তচাপ বেশি বা রক্তে শর্করার হার বেশি থাকলে তাদের অবশ্যই একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে ওআরএস-ও খেতে পারেন। রাস্তায় বেরোলে ভাল করে মুখ ঢেকে বেরোনোর কথা বলছেন ডাক্তাররা। রোদ চশমা, ছাতা হোক সর্বক্ষণের সঙ্গী।
চৈত্র-বৈশাখে প্রতি বছর কালবৈশাখীর দেখা মেলে। দুপুর গড়ালেই কালো মেঘের ঘোমটায় মুখ ঢাকে আকাশ। উত্তাল হাওয়া, সঙ্গে বৃষ্টির দাপাদাপি। এ বছর চৈত্রে ফাঁকি তো পড়েছেই। বৈশাখেরও ১১ দিন ধরে দু’ একটি জায়গা ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হয়নি। এ সপ্তাহে আদৌ পরিস্থিতি বদলাবে কি না হাওয়া অফিস বলতে পারছে না। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই মৌসম ভবন পূর্বাভাস দিয়েছে, বাংলার একাধিক জেলায় এবার বর্ষায় বৃষ্টির ঘাটতি হবে। অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই তালিকায় উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতার কিছু অংশের উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন: Moynaguri Minor Harassment: ১২ দিনের লড়াই শেষ… মৃত্যু ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার, সিবিআই চাইছেন বাবা