Moynaguri Minor Harassment: ১২ দিনের লড়াই শেষ… মৃত্যু ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার, সিবিআই চাইছেন বাবা
Moynaguri Minor Girl: ১৪ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছিল। সোমবার সেই লড়াই থামল ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার ।
জলপাইগুড়ি: টানা ১২ দিনের লড়াই শেষ। সোমবার ভোরে মৃত্যু হল ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার। নির্যাতিতার বাবা জানান, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ মৃত্যু হয়েছে মেয়ের। ১৪ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চলছিল তার। সোমবার সে লড়াই থামল। মেয়ের মৃত্যুর খবর আসতেই নির্যাতিতার বাবা জানান, সিবিআইয়ের হাতে মেয়ের দেহ তিনি তুলে দিতে চান। অভিযোগ, ২৮ ফেব্রুয়ারি ময়নাগুড়ির ওই নাবালিকা বাড়িতে একা ছিল। সেই সুযোগে এক যুবক তার বাড়িতে ঢোকে। ছোট্ট মেয়েটির সঙ্গে পাশবিক আচরণ করে। এই ঘটনার পর নাবালিকার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন এলাকার লোকজন। বিপদ বুঝে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
নির্যাতিতার পরিবার স্থানীয় থানায় অভিযোগও দায়ের করে। কিন্তু অভিযোগ, ওই যুবকের দাদা তৃণমূলের নেতা। সেই প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে গ্রেফতারি এড়াতে আগাম জামিন নিয়ে নেন ওই যুবক। এরপরই ফের এলাকায় ফেরেন তিনি। এদিকে গত ১৩ এপ্রিল ওই নাবালিকার বাড়িতে মুখ ঢেকে কয়েকজন যুবক ঢোকেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে। একইসঙ্গে কথা মতো কাজ না হলে প্রাণে মারারও হুমকি দেয় যুবকের দল।
শাসিয়ে আসে, কথার নড়চড় হলে পরিবারের লোকজনকে মেরে ফেলবে। এরপরই ভয়ে সিঁটিয়ে যায় নাবালিকা। অভিযোগ, নিজেকে শেষ করে দিতে ১৪ এপ্রিল গায়ে আগুন লাগিয়ে ফেলে। ভর্তি করা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু ক্রমেই অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই সোমবার ভোরে মৃত্যু হয় তার।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দোষীদের কী শাস্তি হবে তা নিহতের পরিবার জানে না। তবে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই বাবা বলেন, মেয়ের দেহ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে চান তিনি। তারাই তদন্ত করে বের করুক আসল দোষী কে। কঠোরতম শাস্তি হোক, সেই আর্জিই নিহতের পরিবারের।