Subhas Bose: ‘বাঙালি অস্মিতা’র সঙ্গে নেতাজীকে জুড়ে আদৌ কি ঠিক বললেন জয়প্রকাশ? কী বলছেন ইতিহাসবিদরা?

Indian History: ইতিহাস নিয়ে যাঁরা দিনরাত কাজ করছেন, তাঁদের কথায়, নেতাজী-গান্ধীজীর যে সময়, তখন ব্রিটিশ-রাজ থেকে ভারতমাতার শৃঙ্খলমোচনই ছিল একমাত্র লক্ষ্য।

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Mar 08, 2022 | 10:56 PM

কলকাতা: মঙ্গলবারই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। পদ্মফুল ছেড়ে হাতে জোড়া ফুল তুলে নিয়েই মারাত্মক দাবি করেছেন জয়প্রকাশবাবু। বিজেপির ‘বাঙালিয়ানা’ প্রসঙ্গ বোঝাতে গিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “হৃদয় না ছুঁলে বাংলার মানুষ তার ডাকে সাড়া দেয় না। এই একই কারণে সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে গান্ধীজীর যে লড়াই, বাংলা বাঙালি অস্মিতার যে জায়গা সেটা ইতিহাস বলে।” কিন্তু সত্যিই কি ইতিহাস এরকম কথা বলে? দেশনায়ক নেতাজীর ‘বাঙালি অস্মিতা’ নিয়ে কখনও কোনও বিরোধিতা কি মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে তৈরি হয়েছিল? কী বলছেন ইতিহাসের অধ্যাপকরা! তথ্য, নথি ঘেঁটে এমন কোনও তত্ত্ব বা আভাস কি মিলেছে? ইতিহাস গবেষক অমিত ভট্টাচার্য, যিনি এক সময় ইতিহাসের অধ্যাপকও ছিলেন, তাঁর কথায়, “আমি জানি না। আমি এসব কথা কোনওদিন শুনিনি। সমস্ত ধর্মের মানুষ, সকলকে নিয়েই তাঁর ফৌজ। এগুলো যে কার মাথা থেকে আসছে আমি জানি না। ব্রিটিশকে হঠিয়ে স্বাধীন দেশ গড়ে তোলাই নেতাজীর সংগ্রাম ছিল।”

ইতিহাস নিয়ে যাঁরা দিনরাত কাজ করছেন, তাঁদের কথায়, নেতাজী-গান্ধীজীর যে সময়, তখন ব্রিটিশ-রাজ থেকে ভারতমাতার শৃঙ্খলমোচনই ছিল একমাত্র লক্ষ্য। ভারতের স্বাধীনতার জন্য দেশ উত্তাল হয়েছে। নিঃসন্দেহে বাংলার বীর সন্তানরা সেই আন্দোলনের উজ্জ্বলতম মুখ ছিলেন, তবে তা ভারত মায়ের মুক্তিরই লড়াই ছিল।

এ প্রসঙ্গে ইতিহাসের অধ্যাপক কিংশুক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাঙালি অস্মিতা বলে তিন বা চারের দশকে কোনও ধারণা ছিল বলে আমার মনে হয় না। গান্ধীজীর সঙ্গে সুভাষ বোসের যেটা চলছিল সেটা একটা পর্যায়ে অন্য লড়াই। গান্ধীজী একভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিয়েছিলেন। সুভাষ বোস অন্য পর্যায়ে স্বাধীনতা সংগ্রামকে নিয়ে গিয়েছেন। এর সঙ্গে বাঙালি অস্মিতার কোনও সম্পর্কই নেই। তখনকার দিনে বাঙালি অস্মিতার কথা শুনে আশ্চর্যই হত কিছুটা। পন্থার বিরোধিতা থাকতে পারে। কিন্তু গুজরাটি-বাঙালি এসবের কোনও সম্পর্কই ছিল না। কেউ এ ধরনের কথা বলে থাকলে সহমতের প্রশ্নই নেই।”

আরও পড়ুন: Madan Mitra at SSKM: ‘কথা বললে কাকের মতো শব্দ বেরোচ্ছে’, এসএসকেএমে ভর্তি মদন মিত্র

কলকাতা: মঙ্গলবারই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। পদ্মফুল ছেড়ে হাতে জোড়া ফুল তুলে নিয়েই মারাত্মক দাবি করেছেন জয়প্রকাশবাবু। বিজেপির ‘বাঙালিয়ানা’ প্রসঙ্গ বোঝাতে গিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “হৃদয় না ছুঁলে বাংলার মানুষ তার ডাকে সাড়া দেয় না। এই একই কারণে সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে গান্ধীজীর যে লড়াই, বাংলা বাঙালি অস্মিতার যে জায়গা সেটা ইতিহাস বলে।” কিন্তু সত্যিই কি ইতিহাস এরকম কথা বলে? দেশনায়ক নেতাজীর ‘বাঙালি অস্মিতা’ নিয়ে কখনও কোনও বিরোধিতা কি মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে তৈরি হয়েছিল? কী বলছেন ইতিহাসের অধ্যাপকরা! তথ্য, নথি ঘেঁটে এমন কোনও তত্ত্ব বা আভাস কি মিলেছে? ইতিহাস গবেষক অমিত ভট্টাচার্য, যিনি এক সময় ইতিহাসের অধ্যাপকও ছিলেন, তাঁর কথায়, “আমি জানি না। আমি এসব কথা কোনওদিন শুনিনি। সমস্ত ধর্মের মানুষ, সকলকে নিয়েই তাঁর ফৌজ। এগুলো যে কার মাথা থেকে আসছে আমি জানি না। ব্রিটিশকে হঠিয়ে স্বাধীন দেশ গড়ে তোলাই নেতাজীর সংগ্রাম ছিল।”

ইতিহাস নিয়ে যাঁরা দিনরাত কাজ করছেন, তাঁদের কথায়, নেতাজী-গান্ধীজীর যে সময়, তখন ব্রিটিশ-রাজ থেকে ভারতমাতার শৃঙ্খলমোচনই ছিল একমাত্র লক্ষ্য। ভারতের স্বাধীনতার জন্য দেশ উত্তাল হয়েছে। নিঃসন্দেহে বাংলার বীর সন্তানরা সেই আন্দোলনের উজ্জ্বলতম মুখ ছিলেন, তবে তা ভারত মায়ের মুক্তিরই লড়াই ছিল।

এ প্রসঙ্গে ইতিহাসের অধ্যাপক কিংশুক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাঙালি অস্মিতা বলে তিন বা চারের দশকে কোনও ধারণা ছিল বলে আমার মনে হয় না। গান্ধীজীর সঙ্গে সুভাষ বোসের যেটা চলছিল সেটা একটা পর্যায়ে অন্য লড়াই। গান্ধীজী একভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিয়েছিলেন। সুভাষ বোস অন্য পর্যায়ে স্বাধীনতা সংগ্রামকে নিয়ে গিয়েছেন। এর সঙ্গে বাঙালি অস্মিতার কোনও সম্পর্কই নেই। তখনকার দিনে বাঙালি অস্মিতার কথা শুনে আশ্চর্যই হত কিছুটা। পন্থার বিরোধিতা থাকতে পারে। কিন্তু গুজরাটি-বাঙালি এসবের কোনও সম্পর্কই ছিল না। কেউ এ ধরনের কথা বলে থাকলে সহমতের প্রশ্নই নেই।”

আরও পড়ুন: Madan Mitra at SSKM: ‘কথা বললে কাকের মতো শব্দ বেরোচ্ছে’, এসএসকেএমে ভর্তি মদন মিত্র