কলকাতা: বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল শনিবার। রবিবারই এই ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, বাংলায় আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। বেলাগাম হিংসা চলছে। টুইটারে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। রানাঘাটের সাংসদের উপর আক্রমণ তা বুঝিয়ে দিল। এখন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপর হামলা করা হচ্ছে। তা হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? কীভাবে আমজনতা রাজ্য প্রশাসনের উপর আস্থা রাখবে? এখানে তো কাউন্সিলর, বিধায়ক, সাংসদদের নিরাপত্তাও দিতে পারে না প্রশাসন।’
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “আগে শুভেন্দু অধিকারীকে উত্তর দিতে হবে, কিছুদিন আগেই এই জগন্নাথ সরকারের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কেন তুলে নিলেন? সেখানে বলা হয়েছিল, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রভুত উন্নয়ন হয়েছে। তাই তাঁর আলাদা নিরাপত্তারক্ষীর দরকার নেই। আমরা যতদূর জানি, জগন্নাথ সরকার এই নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়ার বিষয়টি ভালভাবে নেননি সে সময়। কারণ, বর্তমান বিজেপির নেতাদের কার কতজন নিরাপত্তারক্ষী তার উপর ক্ষমতা বোঝানো হয়।”
একইসঙ্গে জয়প্রকাশের দাবি, “একজন সাংসদ সিনেমা দেখতে যাচ্ছেন, সিনেমাহল থেকে বেরোচ্ছেন তা তো তৃণমূল কেন কারওই জানার কথা নয়। বোমাটা কে মারল? আসলে নিজেই সাজিয়েছেন ঘটনাটা। এসব করে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণের চেষ্টা করছেন। আর ওই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাটা যাতে ফেরত পান তার একটা পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছেন। একেবারেই একটা দুর্বল চিত্রনাট্য। জগন্নাথ সরকার তথা জগন্নাথ সরকারের সঙ্গে থাকা বিজেপি এটা তৈরি করেছে। প্রধান উদ্দেশ্য নিরাপত্তা ফেরত পাওয়া। এটা দেখিয়েই তো এরা দলের মধ্যে গুরুত্ব পান।”
The attack on the Ranaghat MP is an addition to the latest trend of targeting Elected Representatives in WB.
How would the general public rely on the State Administration which can’t even ensure security of Councillors, MLAs & MPs?@jdhankhar1 @HomeBengal @HMOIndia— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) March 20, 2022
প্রসঙ্গত, শনিবার কল্যাণীর সঙ্গম সিনেমাহলে বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন রানাঘাটের সাংসদ। অভিযোগ, সেখান থেকে বেরিয়ে হরিণঘাটা ৭ নম্বর শিমুলতলা এলাকায় তাঁর গাড়ি পৌঁছতেই বোমা ছোড়া হয়। বোমাটি সাংসদের গাড়ির পিছনে গিয়ে লাগে বলে অভিযোগ। সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “শিমুলতলা যখন পার করছি তখনই বিকট শব্দ হয়। দেখি আশেপাশের লোকেরা বেরিয়ে আসছে। তারপর সবাই বলল, বোমা মারা হয়েছে। পরে আমি গাড়ির পিছনে গিয়ে দেখি সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে আমার গাড়ি লক্ষ্য করেই মারা হয়েছে তা নিশ্চিত।”