112 feet Durga: গিনেস বুকে উঠবে নদিয়ার পুজোর নাম? অনুমতি নিয়ে টানাপোড়েন, ১১২ ফুটের দুর্গা নিয়ে হাইকোর্টে গড়াল জল, কী বললেন বিচারপতি
112 feet Durga: মামলা হাইকোর্টে উঠলেও বুধবারও ঝুলে রইলো ইউনেস্কো ও গিনেস বুক অফ ওয়াল্ডের তালিকায় স্থান পেতে চাওয়া ১১২ ফুটের এই দুর্গাপুজা। বৃহস্পতিবার জেলা শাসক ও কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করবে পুজোর ভবিষ্যত।

মহাদেব কুণ্ডু
নিয়ে বিপাকে নদিয়ার দুর্গাপুজো। পুজো নিয়ে মমতার প্রশাসনিক বৈঠকের পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। সেখানেই কোনও পুজো নিয়ে যাতে মানুষের সমস্যা না হয় সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরপরই পুলিশের তরফে রানাঘাটের ওই পুজো কমিটিকে দেওয়া হয় কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ। বসেছে পুলিশ পিকেট। একেবারে শেষবেলায় এই কাণ্ডে চিন্তায় ঘুম উড়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের। জল গড়িয়েছে আদালতে। এই পুজো নিয়ে এবার জেলাশাসকের সিদ্ধান্ত জানতে চাইল হাইকোর্ট। এদিকে পুজো উদ্যোক্তারা চাইছেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলতে। তাঁরা বলছেন তাঁদের দুর্গা আকারে আগের দেশপ্রিয় পার্কের ৮০ ফুটের দুর্গা ও অসমের ১০০ ফুটের দুর্গাকেও ছাপিয়ে যাবে। কিন্তু, এখানেও সিঁদুরে মেঘ দেখছে পুলিশ-প্রশাসন। অত্যধিক ভিড়ে পদপিষ্ট হওয়ার মতো ঘটনারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাতেই শেষ বেলায় কাজ বন্ধের নির্দেশ পুলিশের। ফাঁপড়ে রানাঘাটের কামালপুরের অভিযান সংঘের পুজো উদ্যোক্তারা।
মামলা হাইকোর্টে উঠলেও বুধবারও ঝুলে রইলো ইউনেস্কো ও গিনেস বুক অফ ওয়াল্ডের তালিকায় স্থান পেতে চাওয়া ১১২ ফুটের এই দুর্গাপুজা। বৃহস্পতিবার জেলা শাসক ও কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করবে পুজার ভবিষ্যৎ। প্রাথমিকভাবে জেলা শাসককেই পুজার অনুমতি নিয়ে সিদ্ধান্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য। এর আগে ২০১৫ সালে দেশপ্রিয় পার্কের ৮০ ফুটের দুর্গা প্রতিমা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে। যা নিয়ে বিস্তর চাপানউতোরও।
এদিকে সে বার সবথেকে ‘বড়’ প্রতিমা দেখতে মানুষের ঢল নেমেছিল দেশপ্রিয় পার্কে। ভিড়ের ঠেলায় মাঝ পথেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মণ্ডপের দরজা। বিপাকে পড়েছিল ২০১৭ সালে অসমের গুয়াহাটির দুর্গাপুজোও। ১০০ ফুটের যে দুর্গাপ্রতিমা তৈরি হয়েছিল উদ্বোধনের আগেই তা ভেঙে যায়। এবার চর্চায় কামালপুরের পুজো।
কামালপুরে যে জায়গায় ওই পুজো রয়েছে সেখানে আশপাশে রয়েছে কয়েকশো বিঘা কৃষি জমি। তারমধ্যে বিঘা চারেক জমিতে হচ্ছে মণ্ডপ। যদিও কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েই শুধু থমকে থাকেনি পুলিশ। যে জায়গায় কাজ হচ্ছিল সেখানে বসেছে পুলিশ পিকেট। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত জল কোনদিকে গড়ায়।





