Adhir Chowdhury: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হতে ইচ্ছা করে? উত্তরে কী বললেন অধীর?

Adhir Chowdhury: আসন্ন লোকসভা ভোটে কী লড়বেন তিনি? কীভাবে তৈরি হবে বিজেপি রোধের রণকৌশল? তৃণমূল নিয়ে বাংলায় অবস্থানটাই বা ঠিক কী? টিভি-৯ বাংলার EXCLUSIVE সাক্ষাৎকারে সেসবেরই উত্তর দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

Adhir Chowdhury: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হতে ইচ্ছা করে? উত্তরে কী বললেন অধীর?
অধীর চৌধুরীImage Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 27, 2023 | 9:21 PM

কলকাতা: আগের বৈঠক হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। INDIA জোটের পরের বৈঠক চলতি মাসের শেষে মুম্বইতে। আর ঠিক তারপর কলকাতা। হ্যাঁ, বিরোধী জোটের একটি বৈঠক যে বাংলায় হতে পারে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জোর জল্পনা। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে এখনও রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে গ্রাম বাংলায়। চলছে হানাহানি, হচ্ছে রক্তপাত। কোথাও বাংলার শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়তে দেখা যাচ্ছে বাম-কংগ্রেস-বিজেপিকে। কোথাও আবার বোর্ড গঠনের এক শেষ মুহূর্তে জ্যাকেট বদলে অন্য শিবিরে ভিড়লেন জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য়রা। এই ডামাডোলের মধ্যেই এবার বাংলায় হয়তো শীঘ্রই এক মঞ্চে দেখা যেতে চলেছে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূলকে। নেপথ্যে ইন্ডিয়া জোট। কিন্তু, মোদীকে ঠেকাতে মমতার সঙ্গে জোট করে গলায় জোটের অস্বস্তির কাঁটা বিঁধে থাকলেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে টানা সুর চড়িয়ে চলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। আসন্ন লোকসভা ভোটে কী লড়বেন তিনি? কীভাবে তৈরি হবে বিজেপি রোধের রণকৌশল? তৃণমূল নিয়ে বাংলায় অবস্থানটাই বা ঠিক কী? টিভি-৯ বাংলার EXCLUSIVE সাক্ষাৎকারে সেসবেরই উত্তর দিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা।

প্রশ্নঃ বহরমপুর থেকে টানা ছ’বারের জন্য জিতে রেকর্ড গড়তে চান? আপনার অনুগামীরা তো সুপার কনফিডেন্ট।

অধীরঃ মানুষের রায় নিয়ে কোনও ঔদ্ধত্য দেখাতে চাই না। যদি দল দাঁড় করায় বহরমপুরের মানুষের কাছে ভোট ভিক্ষা করব। হ্যাঁ কংগ্রেস কর্মী হিসেবে আমি তো চাইবই বহরমপুর থেকে দাঁড়াতে। 

প্রশ্নঃ দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে তৃণমূলের সঙ্গে জোট মেনে নিতে হচ্ছে আবার আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীদের বুক দিয়ে আগলে রাখতে হচ্ছে। জোট নিয়ে আপনার তো ধর্মসংকট?

অধীরঃ আমার কোনও ধর্মসংকট নেই। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমার লড়াই চলছে।

প্রশ্নঃ বাংলায় আপনার পর কংগ্রেসের হাল কে ধরবে? ধারেকাছে তো কাউকে দেখছি না। সবাই তো প্রবীণ।

অধীরঃ কংগ্রেস উত্তরাধিকার স্টাইলের দল নয়। যে দায়িত্ব নিয়ে চালাতে পারবে তাঁকেই দল বাংলার কংগ্রেসের দায়িত্ব দেবে।

প্রশ্নঃ বাংলায় বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ার সুবিধা বরাবর পেয়ে আসছেন মমতা। আপনি তো কোনোদিনই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে হাত মেলাতে পারবেন না। সুতরাং মমতা ফের বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ার সুবিধা পাবেন কী? 

অধীরঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করুন তাঁর কী হাল হয়েছে! তৃণমূল এবং বিজেপি বাংলায় বাইনারি চায়। কিন্তু আমরা, মানে বাম-কংগ্রেস থাকলেই ত্রিমুখী লড়াই হবে। আর ত্রিমুখী লড়াই হলেই তৃণমূল বিজেপি উভয়েরই বিপদ। আমরা লড়াইয়ে থাকবই।

প্রশ্নঃ লোকসভায় মোদী অমিত শাহ যখন আপনাকে নাম করে কটাক্ষ করেন তখন অধিবেশনের ভিতরের আবহ কেমন হয়? আপনার কেমন লাগে? 

অধীরঃ আমি ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদী কে আক্রমণ করি না। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমালোচক। প্রধানমন্ত্রী যখন আমার নাম করে আক্রমণ করেন তখন আমি বুঝি আমার তিরটা ঠিক জায়গায় বিঁধেছে। 

প্রশ্নঃ মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোট ফিরছে? কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবন হচ্ছে মুর্শিদাবাদে? 

অধীরঃ হ্যাঁ কংগ্রেস তো বাড়ছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যেই আপনারা টিভিতে দেখলেন মালদা, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুরে কংগ্রেস ফিরছে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের উপর আক্রমণ শুরু হয়ে গেল। DM, SP রা সব মাঠে নেমে পড়ল ভোট করানোর জন্য।

প্রশ্নঃ মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের তৃতীয় বৈঠকে আসন সমঝোতা নিয়ে আপনার কি প্রস্তাব থাকবে?

অধীরঃ আসন সমঝোতা নিয়ে আমার প্রস্তাব জানতে চাওয়া হলে সেখানে নিশ্চয়ই আমার মত জানাব। 

প্রশ্নঃ অনেকেই বলছেন লোকসভা থেকে আপনাকে সাসপেন্ড করে লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কী বলবেন?

অধীরঃ এটা নিয়ে লোকসভার বাইরে আমি কোনও ট্রায়াল চাই না। প্রিভিলেজ কমিটির একটা বৈঠক ইতিমধ্যেই হয়েছে। তিরিশ তারিখ ফের প্রিভিলেজ কমিটির বৈঠক আছে। আমি সেখানে হাজিরা দিয়ে আমার যা বলার বলব।

প্রশ্নঃ সারা জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই তো দিল্লির রাজনীতি করলেন। আপনার কখনও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হাওয়ার ইচ্ছে করে না?

অধীরঃ এখন যেমন দেখছেন তেমনই আছি। মনে তো অনেক ইচ্ছাই থাকতে পারে। সেসব আপনাকে বলতে যাব কেন?