AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kalyan Banerjee Comment: বিচারপতিদের নিয়ে মন্তব্যের জন্য কি কল্যাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়? যা বললেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত…

Kalyan Banerjee comment on Justice: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ওঁর মন্তব্যের জবাব দেওয়া আমার সাজে না। কারণ উনি প্রধান বিচারপতি। কিন্তু, একটা কথা বলব, কোনও বিচারপতিরই আলগা মন্তব্য করা উচিত নয়। আগে বিচারপতিরা কম কথা বলতেন। আজ সব বদলে গিয়েছে। এখন বিচারপতিরা বেশি কথা বলেন।"

Kalyan Banerjee Comment: বিচারপতিদের নিয়ে মন্তব্যের জন্য কি কল্যাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়? যা বললেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত...
কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত (বাঁদিকে), কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (ডানদিকে) Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2025 | 12:04 PM
Share

কলকাতা: তিনি তৃণমূলের সাংসদ। আবার বর্ষীয়ান আইনজীবীও। সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিচারপতিদের নিয়ে মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়েছে। এখনকার বিচারপতিরা বেশি কথা বলেন বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ। বিচারপতিদের নিয়ে এই মন্তব্যের জন্য কল্যাণের বিরুদ্ধে কি কোনও আইনি পদক্ষেপ করা যায়? আদালত কি কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে? এই নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত। কী বললেন হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি? 

কল্যাণের এই মন্তব্যের জন্য কি আইনি পদক্ষেপ করা যায়?

কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত বলেন, “বিচারব্যবস্থা বা বিচারকদের টিকে থাকাটা কোনও জনপ্রিয়তার উপর নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে ভারতীয় সংবিধানের ধারা অনুযায়ী। এই ধরনের কথাগুলো এতই অপ্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বহীন যে এইগুলো নিয়ে বিচারব্যস্থা খুব একটা গুরুত্ব দেবে বলে আমার মনে হয় না। যদি আদালত অবমাননার কোনও ফৌজদারি অবমাননার প্রশ্ন উঠে, সেক্ষেত্রে ওটা প্রভাব ও উদ্দেশ্য, এই দুটো বিষয়ের উপর দাঁড়িয়ে সংশ্লিষ্ট আদালত বিচার করবে।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য আটকাতে আইনে কোনও ধারা নেই। তবে যেকোনও ব্যক্তি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। অথবা আদালত স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে। আদালত অবমাননায় জেল, জরিমানা হতে পারে।” কল্যাণের এই ধরনের মন্তব্য করা কি ঠিক হয়েছে? প্রশ্ন শুনে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, “মন্তব্যটা অপ্রাসঙ্গিক, তবে এই ধরনের মন্তব্য কাম্য নয়।”

বিচারপতিদের নিয়ে কী মন্তব্য করেছিলেন কল্যাণ?

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত প্রশ্ন করেছিলেন, রোহিঙ্গাদের কি সরকার শরণার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে? কেন তাঁদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে? রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের যে দেশ রাখতে বাধ্য নয়, সেকথাও বলেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওঁর মন্তব্যের জবাব দেওয়া আমার সাজে না। কারণ উনি প্রধান বিচারপতি। কিন্তু, একটা কথা বলব, কোনও বিচারপতিরই আলগা মন্তব্য করা উচিত নয়। আগে বিচারপতিরা কম কথা বলতেন। আজ সব বদলে গিয়েছে। এখন বিচারপতিরা বেশি কথা বলেন।”