Jadavpur University: ‘কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কী অপরাধ?’, প্রশ্ন ‘শান্ত ছেলে’ ধৃত অঙ্কনের মায়ের

Jadavpur University: ‘ভাল ছেলে বলেই তো জানতাম, পড়াশোনাতেও ভাল’, যাদবপুরকাণ্ডে অঙ্কনের গ্রেফতারিতে বিস্মৃত পাড়া-প্রতিবেশীরা।

Jadavpur University: ‘কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কী অপরাধ?’, প্রশ্ন 'শান্ত ছেলে' ধৃত অঙ্কনের মায়ের
ধৃত অঙ্কনের মাImage Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2023 | 3:41 PM

কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) এদিন সকালেই গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ৬ পড়ুয়াকে। বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃতদের তালিকায় রয়েছেন অঙ্কন সরকার। অঙ্কন যাদবপুরে সিভিল ইঞ্জিনিয়রিং বিভাগের তৃতীয় বিভাগের ছাত্র বলে জানা যাচ্ছে। বাড়ি নারায়ণপুর থানার অন্তর্গত কাদিহাটি এলাকায়। অঙ্কনের মায়ের দাবি, তাঁর ছেলে নির্দোষ। যাদবপুরের প্রথমবর্ষের পড়ুয়া হস্টেলের ব্যালকনি থেকে পড়ে যাওয়ার সেই তাঁকে ট্যাক্সিতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। বাঁচাতে চেয়েছিল বাংলা বিভাগের ওই পড়ুয়াকে। পুলিশের জেরায় সবটা জানিয়েওছে। তাঁর পরেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর মায়ের সাফ দাবি, ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। রোজই ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। পুরো ঘটনাই তাঁকে খুলে বলেছিল অঙ্কন। তাঁর স্পষ্ট প্রশ্ন, “ও ছেলেটা পড়ে যাওয়ার পর ওকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল শুধু। কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কী অপরাধ?”

সূত্রের খবর, ছোট থেকেই এলাকায় মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিত অঙ্কন। এলাকাতে রয়েছে ভাল ভাবমূর্তি। পাড়া-প্রতিবেশীদের মুখে শোনা যাচ্ছে সে কথাই। প্রতিবেশী প্রতিমা করাত বলছেন, “ছোটবেলা থেকে তো ওকে দেখছি। খুবই ভাল ছেলে। পড়াশোনাতেও ভাল। তবে কারও ভিতরের খবর তো কেউ বলতে পারবে না। ওখানে ও কী করছে সেটা ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ বিষয়ে ওর বাড়ির লোক, বন্ধুবান্ধবেরা বেশি ভাল বলতে পারবে। আমরা তো উপর থেকে দেখে যা বুঝেছি তাতে ও তো বেশ ভালই ছেলে। খুব শান্ত। তবে পাড়ায় খুব একটা কারও সঙ্গে মেলামেশা করতো না।”

একই কথা ঠাকুমার মুখেও। খবরটা শোনার পর থেকেই ভেঙে পড়েছেন তিনি। বলছেন, “ও তো খুবই ভাল ছেলে। সবসময় নিজের মতো থাকতো। পাড়ার লোকেরাও ওকে ভাল ছেলে বলেই জানে। কী থেকে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।” প্রসঙ্গত, দীপশেখর, সৌরভ, মনোতোষের পর এদিন প্রথমে এক প্রাক্তন ছাত্র অসিত সর্দার এবং আরও তিন পড়ুয়া অঙ্কন সরকার, মহম্মদ আরিফ এবং মহম্মদ আসিফ আনসারি-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় দুই প্রাক্তনী সপ্তক কামিলিয়া ও সুমন নস্করকে।