BJP-RSS Meeting: চেনা মেজাজে RSS, CAA-অনুপ্রবেশ হাতিয়ারই মূল অস্ত্র গেরুয়া শিবিরের? কলকতার সমন্বয় বৈঠকে কী কী ঠিক হল?

RSS-BJP in West Bengal: উত্তরবঙ্গ, মধ‍্যবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ থেকে বিজেরপির যে সব পদাধিকারী, প্রতিনিধিরা ছিলেন বৈঠকে তাঁদের কাঁধেই মূলত গোটা বিষয় দেখভাল করার দায়িত্ব বর্তাচ্ছে। খবর এমনটাই। মূলত সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলিতেই এই প্রচার করা হবে।

BJP-RSS Meeting: চেনা মেজাজে RSS, CAA-অনুপ্রবেশ হাতিয়ারই মূল অস্ত্র গেরুয়া শিবিরের? কলকতার সমন্বয় বৈঠকে কী কী ঠিক হল?
কী ঠিক হল বৈঠকে? Image Credit source: TV 9 Bangla GFX & Getty Images

| Edited By: জয়দীপ দাস

Sep 19, 2025 | 12:16 PM

কলকাতা: ভোটমুখী বাংলায় সিএএ নিয়েই এবার সর্বাত্মক উদ‍্যোগ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের। বঙ্গের বিজেপি নেতৃত্বকে ডেকে বিশেষ সমন্বয় বৈঠক করলেন আরএসএস পদাধিকারীরা। সল্টলেকের পাঁচতারা হোটেলে চলল ম্যারাথন বৈঠক। সপ্তাহ দুই আগে যোধপুর আরএসএস সমন্বয় বৈঠক হয়েছিল। সেখানে বিজেপির পক্ষে ছিলেন জেপি নাড্ডা,  বি এল সন্তোষ, শিব প্রকাশ। সেখানে বাংলায় অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে উদ্বেগের সুর ধরা পড়েছিল। কিন্তু সল্টলেকের পাঁচতারা হোটেলে শুরুতে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে তা নিয়ে বিশেষ আলোকপাত করা না গেলেও ধীরে ধীরে সবটাই খোলসা হয়ে গেল। এই বৈঠকও এতটাই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক যে, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষও কলকাতায়। সংঘের তরফ থেকে ছিলেন সর্বভারতীয় স্তরের পদাধিকারী প্রদীপ যোশী। ছিলেন রমাপদ পাল, জলধর মাহাতো, জিষ্ণু বসুর মতো পদাধিকারীরা। এরাই মূলত গোটা পূর্ব ভারতে সাংগাঠনিক স্তরে নানা দায়িত্বে রয়েছেন।

কারা কারা ছিলেন? 

রাজ‍্য বিজেপির তরফ থেকে ছিলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ‍্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন বিধায়ক দীপক বর্মন, মধ্যবঙ্গের প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার, দক্ষিণবঙ্গের প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন রাজ‍্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। এছড়াও জেলা স্তরের প্রতিনিধি হিসাবে বে কিছু এমএলএ ও পদাধিকারীও ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীও। ছিলেন বিধায়ক অসীম বিশ্বাস, অসীম সরকার, বঙ্কিম ঘোষ, সুব্রত মৈত্র, গৌরীশঙ্কর ঘোষ, পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায়, স্বপন মজুমদারও।

কোন কোন বিষয় ঠিক হয়েছে বৈঠকে? 

সিএএ-র আওতায় যে সমস্ত ব্যক্তিদের আবেদন জমা পড়া দরকার, তাঁদের সকলের আবেদন যাতে দ্রুত জমা পড়ে তা দেখার কথা উঠে এসেছেন। কোনওরকম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছাড়া যাতে নির্ভয়ে নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন জমা করেন, এবং দিনের শেষে তাঁরা যাতে তা পেয়ে যান তা নিশ্চিত করতে কোন কোন পথে হাঁটতে হবে, সোজা কথায় তা নিশ্চিত করার কর্মপন্থা স্থির হয়েছে বৈঠকে। এমনটাই খবর সূত্রের। আরএসএসের সঙ্গে কাজ করা একাধিক সংগঠন মাঠে নামলেও এই অভিযানে অগ্রণী ভূমিকায় দেখা যাবে বিজেপিকেই। তাও কার্যত এই বৈঠক থেকেই স্পষ্ট।