
কলকাতা: এসআইআর ফর্মে আত্মীয়স্বজনের নাম দিলে শুনানিতে ডাকতে পারে কমিশন? বৃহস্পতিবার নদিয়ার সভা থেকে একটি বড় সম্ভবনার কথা বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তিনি বলেছিলেন, ‘সত্যি কিনা জানি না, তবে শুনলাম ঠাকুরদা-ঠাকুমার নাম দিলে নাকি শুনানিতে ডাকছে।’
বাংলায় ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। এবার পালা খসড়া তালিকা প্রকাশের। নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়েছিল, যাঁদের তথ্য নিয়ে সন্দেহ তৈরি হবে, তাঁদের শুনানিতে ডাকা হবে। এমনকি, কারওর নাম যদি খসড়া তালিকায় থাকে, তা হলে সে যে ছাড় পেয়ে যাবেন, এমনটাও নয়। প্রয়োজন পড়লে সেই ভোটারকেও শুনানিতে ডাকা হতে পারে।
কমিশন সূত্রে খবর, শুনানির জন্য দু’ধরনের ম্যাপিংকে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। প্রথমটি সেল্ফ ম্য়াপিং অর্থাৎ যাদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল। দ্বিতীয়টি হল প্রজেনি ম্য়াপিং অর্থাৎ যাদের ২০০২ সালের তালিকায় নাম ছিল না, এই বছরের খসড়া তালিকায় নাম তুলতে যারা বাবা-মা কিংবা আত্মীয় পরিজনের নাম ব্যবহার করেছেন। জানা গিয়েছে, প্রজেনি ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফর্ম জমা দেওয়া ভোটারের সংখ্যাই এখন সবচেয়ে বেশি। প্রায় তিন কোটির উর্ধ্বে।
ইতিমধ্য়েই প্রজেনি ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফর্ম জমা দেওয়া ভোটারদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। কাদের নাম তাঁরা ব্য়বহার করেছেন, সেই বিষয়টাও খতিয়ে দেখছে কমিশন। এই যাচাই পর্বে যদি কোনও রকম সন্দেহ তৈরি হয়, তা হলেই হিয়ারিংয়ের জন্য ডাকা হতে পারে সংশ্লিষ্ট ভোটারদের।
এসআইআর ফর্ম আপলোড ও ডিজিটাইজেশন এর কাজের সময়সীমা শেষ হলেও আপাতত এই বিএলও অ্যাপের মাধ্যমে ফটো ভেরিফিকেশন করতে পারবেন বুথ লেভেল অফিসাররা। ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজ যাতে নিখুঁতভাবে হয়, সেই বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে সচল রাখা হয়েছে বিএলও অ্যাপ।
ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট অ্য়াপে একটি বিশেষ বাটনও এনেছে কমিশন। যার মাধ্যমে দু’তিন জন ভোটারের ফটো এক রকম দেখাচ্ছে কিনা তা চিহ্নিত করতে পারবেন বুথ লেভেল অফিসাররা। বিএলও অ্যাপ-এর মাধ্যমে সেই ফটোগুলি মার্ক করে সংশ্লিষ্ট বুথ লেভেল অফিসারদের চেক করতে বলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।