Mamata Banerjee : কে নেতা হবেন সেটা বড় কথা নয়, বিজেপিকে কুর্সি ছাড়তেই হবে : মমতা
Mamata Banerjee : মমতার দাবি বিরোধী জোটের নেতা কে হবে সেটা বড় কথা নয়। তিনি বলেন, “লড়াইটা শুধু দেশ বাঁচানোর লড়াই। বিজেপি বনাম জনতার লড়াই হবে। দেশের সমস্ত নাগরিকই এ ক্ষেত্রে নেতা। বিজেপিকে কুর্সি ছাড়তেই হবে।”

কলকাতা : খেলা হবে। আমরাও খেলব। অখিলেশ সঙ্গে হাত ধরে উত্তরপ্রদেশে খেলব। ছাত্র-যুব-কিষাণ হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, পারসি, জৈন সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দেশের গরিব মানুষের স্বার্থে এই বিজেপিকে (BJP) সরাতেই হবে কুর্সি থেকে। রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে ফের পদ্ম শিবিরকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার (Mamata Banerjee)। একইসঙ্গে চব্বিশের লোকসভা ভোটে বিজেপিকে সরাতে দেশের সমস্ত বিরোধী দলের কাছে জোট বেঁধে লড়াইয়ের ডাক দিয়ে দিলেন। বাংলার প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। তারই প্রতিবাদে রেড রোডে দুদিনের ধরনায় বসেছেন মমতা। সেখান থেকেই এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দাগতে দেখা গেল তাঁকে। তাঁর সাফ দাবি, পায়ের তলার মাটি সরছে বিজেপি। স্বাস্থ্য ভাল নেই এনডিএ জোটের। মানুষের কথা ভেবে, বিজেপির বঞ্চনার শিকার হয়ে হাত ছাড়ছে শরিক দলগুলি। আর সে কারণেই ইডি-সিবিআই দিয়ে বিরোধী দলগুলিকে ভয় দেখাচ্ছে। এদিকে ওদের এনডিএ জোটের স্বাস্থ্যই ভাল নেই।
বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, “১৭টা রাজনৈতিক দলকে নিয়ে এনডিএ ছিল। আজকে ১৬টা দল চলে গিয়েছে। ওরা একা কী করবে? উত্তরপ্রদেশেও সব পাবে না। ওখানে যোগী রাজ কী করবে আমি জানি না। যোগীবাবুর সঙ্গে আবার কারও কারও সম্পর্ক ভাল নয় শুনেছি। মধ্যপ্রদেশে টিমটিম করে জ্বলছে। উত্তরপ্রদেশে অবস্থা ভাল। ওখানে তো কাউকে খেলতে দেয় না। তবে ওখানেও আমরা এবার অখিলেশের সঙ্গে হাত ধরে খেলব। আমরা খেলতে যাব। কিন্তু, বিহারে কোথায় ভোট পাবে? রাজস্থনে, পঞ্জাবে, বাংলায়, কর্নাটকে, অন্ধ্রপ্রদেশে, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গনায় কী করে ভোট পাবে? দিল্লি, ঝাড়খণ্ডে কোথায় ভোট পাবে?”
এখানেই না থেমে রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে মমতা বলেন, “ওরা জানে না দিল্লি যখন টলমল হবে তখন দিল্লিতে কী ঝড় আসবে। তাই আমি মনে করি প্রতিটা বিরোধী দলকে একসঙ্গে লড়তে হবে। বিজেপিকে দেশ থেকে সরাতে হবে, কুর্সি থেকে সরাতে হবে। দেশের দুঃশাসন ওরা। এই দুঃশাসনকে হটাতে হবে। দুর্যোধনকে সরান, দেশকে বাঁচান। বিজেপিকে হটান লোকতন্ত্রকে বাঁচান, দেশের গরিব মানুষকে বাঁচান। ছাত্র-যুব-কিষাণ হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, পারসি, জৈন সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
