রাম দোলোল একটি আমেরিকান জাহাজ যেটি রাম দুলাল দে সরকারের নামে নামকরণ করা হয়েছিল। তাঁকে বাঙালি ব্যবসার জনক বলা যেতে পারে। আমেরিকাতে তাঁর বেশ আধিপত্য এবং প্রভাব বিস্তার হয়। তারপর আমেরিকানরা তাঁর নামে একটি জাহাজ বানায়। দ্বারকানাথ ঠাকুর ভারতের প্রথম শিল্পপতি। জাহাজের ব্যবসা, কয়লা খনি, ব্যাঙ্কও ছিলই। ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের পার্টনার করে খুলেছিলেন ‘কার, টেগোর অ্যান্ড কোম্পানি’। আলামোহন দাশ একমাত্র বাঙালি শিল্পপতি যাঁর নামে একটা আস্ত শহর গড়ে উঠেছে। হাওড়ার দাশনগর। সেখান থেকে ২০২২ সালে বাঙালি শিল্প কি সোনার পাথর বাটি?
বন্ধন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, “আমাদের ব্যাঙ্কিংয়ের মডেলের উপলক্ষ হল যে মানুষগুলো আয়ের মধ্যে আসেনি তাদের আয়ের মধ্যে কীভাবে আনা যায়। মহিলাদের নিয়ে আমরা কাজ করি। মহিলারা সকাল থেকে রাত অবধি সারাদিন কাজ করেন। কিন্তু তাঁদের কাজের কোনও গুরুত্ব আমরা দিই না। কারণ তাঁরা অর্থ উপার্জন করেন না।”
বাংলার শিল্প বা ব্যবসা কি আবার পুনরুজ্জীবিত করা যাবে? অর্থনীতিবিদ অনুপ সিনহার মত, “শিল্পের বৃদ্ধি ব্যক্তি বিশেষে ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতার উপর নির্ভর করে। চন্দ্রশেখরবাবুকে অনেক ঝুঁকি নিতে হয়েছে। উনাকে দেখে অনেকেই শিখতে পারেন। চন্দ্রশেখর বাবুর মতো বাংলায় উদাহরণ সৃষ্টিকারী অনেক শিল্পপতি রয়েছেন। কিন্তু বাঙালির দোষ একটাই, আমরা ঝুঁকি নিতে ভয় পাই।” তাই ব্যবসার বদলে চাকরিকেই প্রথমে বেছে নেয় বাঙালি। কারণ, মনে করে চাকরির একটা স্থিরতা রয়েছে। একইসঙ্গে অনুপবাবু মনে করেন, “বাঙালির শিক্ষার প্রতি একটা টান রয়েছে। আমাদের মধ্যে একটা ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছে যে ব্যবসা তো অশিক্ষিতদের জন্য।”
নতুন প্রজন্মকে ব্যবসা বা শিল্পে উদ্যোগী করে তুলতে কী করা যেতে পারে? এই প্রসঙ্গে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস এর সিইও শুভঙ্কর সেন বলেছেন যে, সব কাজের মধ্যে বাঙালিকে একটি ইতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে এগোতে হবে। ঝুঁকি থাকলেও সেটা কঠোর পরিশ্রম করে সেটা অতিক্রম করে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। একটা সুগঠিত এবং বৃহত্তর স্বার্থের জন্য চিন্তাভাবনা করে ব্যবসায় নামতে হবে।
রাম দোলোল একটি আমেরিকান জাহাজ যেটি রাম দুলাল দে সরকারের নামে নামকরণ করা হয়েছিল। তাঁকে বাঙালি ব্যবসার জনক বলা যেতে পারে। আমেরিকাতে তাঁর বেশ আধিপত্য এবং প্রভাব বিস্তার হয়। তারপর আমেরিকানরা তাঁর নামে একটি জাহাজ বানায়। দ্বারকানাথ ঠাকুর ভারতের প্রথম শিল্পপতি। জাহাজের ব্যবসা, কয়লা খনি, ব্যাঙ্কও ছিলই। ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের পার্টনার করে খুলেছিলেন ‘কার, টেগোর অ্যান্ড কোম্পানি’। আলামোহন দাশ একমাত্র বাঙালি শিল্পপতি যাঁর নামে একটা আস্ত শহর গড়ে উঠেছে। হাওড়ার দাশনগর। সেখান থেকে ২০২২ সালে বাঙালি শিল্প কি সোনার পাথর বাটি?
বন্ধন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, “আমাদের ব্যাঙ্কিংয়ের মডেলের উপলক্ষ হল যে মানুষগুলো আয়ের মধ্যে আসেনি তাদের আয়ের মধ্যে কীভাবে আনা যায়। মহিলাদের নিয়ে আমরা কাজ করি। মহিলারা সকাল থেকে রাত অবধি সারাদিন কাজ করেন। কিন্তু তাঁদের কাজের কোনও গুরুত্ব আমরা দিই না। কারণ তাঁরা অর্থ উপার্জন করেন না।”
বাংলার শিল্প বা ব্যবসা কি আবার পুনরুজ্জীবিত করা যাবে? অর্থনীতিবিদ অনুপ সিনহার মত, “শিল্পের বৃদ্ধি ব্যক্তি বিশেষে ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতার উপর নির্ভর করে। চন্দ্রশেখরবাবুকে অনেক ঝুঁকি নিতে হয়েছে। উনাকে দেখে অনেকেই শিখতে পারেন। চন্দ্রশেখর বাবুর মতো বাংলায় উদাহরণ সৃষ্টিকারী অনেক শিল্পপতি রয়েছেন। কিন্তু বাঙালির দোষ একটাই, আমরা ঝুঁকি নিতে ভয় পাই।” তাই ব্যবসার বদলে চাকরিকেই প্রথমে বেছে নেয় বাঙালি। কারণ, মনে করে চাকরির একটা স্থিরতা রয়েছে। একইসঙ্গে অনুপবাবু মনে করেন, “বাঙালির শিক্ষার প্রতি একটা টান রয়েছে। আমাদের মধ্যে একটা ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছে যে ব্যবসা তো অশিক্ষিতদের জন্য।”
নতুন প্রজন্মকে ব্যবসা বা শিল্পে উদ্যোগী করে তুলতে কী করা যেতে পারে? এই প্রসঙ্গে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস এর সিইও শুভঙ্কর সেন বলেছেন যে, সব কাজের মধ্যে বাঙালিকে একটি ইতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে এগোতে হবে। ঝুঁকি থাকলেও সেটা কঠোর পরিশ্রম করে সেটা অতিক্রম করে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। একটা সুগঠিত এবং বৃহত্তর স্বার্থের জন্য চিন্তাভাবনা করে ব্যবসায় নামতে হবে।