
কলকাতা: দেশের সীমান্তরক্ষীরা কি কখনও রাজনীতির অংশ হতে পারে? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজনীতিতে সবই সম্ভব। একদিকে কেন্দ্র, অন্য দিকে রাজ্য। সংঘাত তো হবেই। বুধবারও সেই সংঘাতটা স্পষ্ট হল। তাও আবার বিএসএফকে নিয়ে।
বাঙালির অস্মিতা ও বাংলাদেশ পুশব্যাকের ঘটনায় সরব হয়ে রাজপথে মিছিল করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মিছিল শেষে ডোরিনা ক্রসিংয়ে হল সভা। সেই সভা থেকেই মমতার মুখে শোনা গেল বিএসএফ প্রসঙ্গ। বাংলায় অনুপ্রবেশের দায় যে তাদেরই, সেই কথাটাই স্মরণ করলেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে সিআইএসএফ, বিএসএফ, সিআরপিএফ। বিমানে কেউ এলে সেটিও কেন্দ্রের অসামরিক পরিবহণ মন্ত্রক দেখে। তা হলে অনুপ্রবেশ আটকানো দায়ও তাদের।’ এই অনুপ্রবেশের ইস্যু একেবারেই নতুন নয়। মোদী থেকে অমিত শাহ, তাঁরা যখনই বাংলায় এসেছেন তখনই এই ইস্যু তুলে সরব হয়েছেন। আক্রমণ করেছেন। পাল্টা তৃণমূলের হাতিয়ার বরাবরই থেকেছে বিএসএফ। যা থাকল এই বারেও।
মমতা যখন অনুপ্রবেশ নিয়ে বিএসএফ-এর দিকে ঠেলছেন সেই সময় শুভেন্দু কিন্তু অন্য চাল দিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন অনুপ্রবেশ বিএসএফ-এর দায়িত্ব। আমি বলছি, আপনি কেন্দ্রকে ৫৪০ কিলোমিটার জায়গা দেননি কেন? ২০১৬ সাল থেকে বারংবার ভারত সরকার স্বরাষ্ট্র দফতর এবং অনুরোধ করা সত্ত্বেও। আপনি বিএসএফ-কে সম্পূর্ণ জমি দিয়ে, তাতে কাঁটাতার লাগানোর সময় দিয়ে, তারপর বিএসএফ-র দিকে আঙুল তুলুন। আমরাও না হয় তখন সমর্থন করব।’
যদিও সম্প্রতি জট টানাপোড়েন খানিকটা চাপা দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার লাগানোর জন্য বিএসএফ-কে ৩৫৬ একর জমি দ্রুত হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। ইতিমধ্য়ে জেলাশাসকদের কাছে সেই কেন্দ্রীয় নির্দেশিকাও পৌঁছে গিয়েছে।