Murder Case: মাকে ছাগল বাঁধার দড়ি দিয়ে খুন বাবার, খাটে বসে দেখল একরত্তি মেয়ে

Murder Case: অভিযোগ, এর আগে আরও একবার গর্ভবতী হয়েছিলেন উরমিতা দেবী। কিন্তু, একদিন মদ খেয়ে এসে স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে সেই সন্তান নষ্ট করে দেন সৌমেন। যা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিস্তর অশান্তিও হয়। স্ত্রীকে আর মারবে না বলে কথাও দেয় সৌমেন।

Murder Case: মাকে ছাগল বাঁধার দড়ি দিয়ে খুন বাবার, খাটে বসে দেখল একরত্তি মেয়ে
উরমিতা বাউল দাসImage Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2023 | 5:15 PM

কলকাতা: প্রেম করেই করেছিল বিয়ে। কিন্তু, বিয়ের পর থেকে সুখ ছিল না সংসারে। রোজই হত অশান্তি। শেষে স্বামীর হাতে প্রাণ গেল স্ত্রীর। চাঞ্চল্যকর ঘটনা পান্ডুয়ার জায়ের দ্বারবাসিনী পঞ্চায়েতের কামতাই মালঞ্চ পাড়ায়। এই এলাকারই বাসিন্দা উরমিতা বাউল দাস। তাঁর সঙ্গেই  বলাগড় থানার অন্তর্গত ঝেরো গোপালপুরের সৌমেন বাউল দাস বিয়ে হয়। বছর খানেক আগে তাঁদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু, উরমিতার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে লাগাতার তাঁদের মেয়ের উপর অত্যাচার করত জামাই। মদও খেত বিস্তর। মদ খেলে আরও বাড়ত অত্যাচারের মাত্রা। 

অভিযোগ, এর আগে আরও একবার গর্ভবতী হয়েছিলেন উরমিতা দেবী। কিন্তু, একদিন মদ খেয়ে এসে স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে সেই সন্তান নষ্ট করে দেন সৌমেন। যা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিস্তর অশান্তিও হয়। স্ত্রীকে আর মারবে না বলে কথাও দেয় সৌমেন। অভিযোগ, তারপরেও বদলায়নি পরিস্থিতি। অত্যাচারের মাত্রা কমায়নি সৌমেন। এরইমধ্যে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে ঝেরো গোপালপুর থেকে দ্বারবাসিনী চলে এসেছিলেন উরমিতা দেবী। আর শ্বশুরবাড়ি যাবে না বলেও জেদ ধরেছিলেন। তারমধ্যে ঘটে গেল এ ঘটনা।  

উরমিতার বাবা উত্তম বাউল দাস বলছেন, “পান্ডুয়ার গ্রামে মনসা পুজোর অনুষ্ঠানে এসেছিল সৌমেন। রাতে আমাদের বাড়িতেও আসে। খাওয়া-দাওয়া করে। এরপর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ঘটিয়ে দেয় এই কাণ্ড। ছাগল বাঁধা দড়ি দিয়ে মেয়ের গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করে ফেলে। এরপর ওর দেহ খাটের তলায় লুকিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমরা ঘরে ঢুকে দেখি ওদের মেয়েটা তখন খাটের উপর বসে কাঁদছে। আসলে মেয়েটাকে ও বাড়িতে পাঠাইনি বলে এ কাজ করল ও।”

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পান্ডুয়া থানার পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার ডিএসপি ক্রাইম দেবী দয়াল কুন্ডু ও পান্ডুয়া থানার ওসি প্রশান্ত ঘোষেরা গিয়ে গোট পরিস্থিতি দেখে আসেন। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযুক্তের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।