
বেজায় গরম। গাছতলায় দিব্যি ছায়ার মধ্যে চুপচাপ শুয়ে আছি, তবু ঘেমে অস্থির। ঘাসের উপর রুমালটা ছিল, ঘাম মোছবার জন্য যেই সেটা তুলতে গিয়েছি অমনি রুমালটা বলল “ম্যাও!” কি আপদ! রুমালটা ম্যাও করে কেন? চেয়ে দেখি রুমাল তো আর রুমাল নেই, দিব্যি মোটা-সোটা লাল টক্টকে একটা বেড়াল। গোঁফ ফুলিয়ে প্যাট্ প্যাট্ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে! আমি বললাম, “কি মুশকিল! ছিল রুমাল, হয়ে গেল একটা বেড়াল।” অমনি বেড়ালটা বলে উঠল, “মুশকিল অবার কি? ছিল একটা ডিম, হয়ে গেল দিব্যি একটা প্যাঁক্পেঁকে হাঁস। এ তো হামেশাই হচ্ছে।” কী সুকুমার রায়ের হযবরল-র লাইনগুলি মনে পড়েছে? হ্যাঁ, এবার যেন এসআইআর শুরু হতেই এরকমই ভুড়ি ভুড়ি উদাহরণ উঠে এল। দুই বউ নিয়ে কত লোকই তো ঝামেলায় পড়লেন, কার নাম দেবেন আর কার নাম দেবেন না তা নিয়ে কালঘাম ছুটল। কিন্তু ফাদার ইন ল হয়ে যাচ্ছে ফাদার… তাই যেন সবথেকে বেশি ভাবাচ্ছে নির্বাচন কমিশনে। যুক্তি দিতে গিয়ে কেউ বললেন, বিয়ের পর থেকে ওনাকেই তো বাবা বলে...