মমতার পাশেই আছি, দিল্লি যাচ্ছি না: শতাব্দী
মুকুল রায় যে তাঁকে ফোন করেছিলেন সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন শতাব্দী বলেছেন, দলের অন্দরে যা সমস্যা রয়েছে তা অন্দরেই মিটবে।
কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের বরফ গলল সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy) ও তৃণমূলের (TMC) মধ্যে। শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের উপস্থিতিতে এদিন ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের দফতরে বৈঠক শেষে শতাব্দী রায় জানিয়ে দিলেন, আগামিকাল তিনি দিল্লি যাচ্ছেন না। এই সময় প্রত্যেককে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাশে থাকার আপিল জানিয়েছেন তিনি। ফলে আপাতত সাংসদের ক্ষোভে ছাই চাপা দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে বৈঠক শেষে বেরিয়ে শতাব্দী জানান, “আমার যা সমস্যা হচ্ছিল সেগুলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছি। উনি বলেছেন সেগুলোর সমাধান হবে। আমি দিল্লি যাচ্ছি না।” যদিও মুকুল রায় যে তাঁকে ফোন করেছিলেন সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন শতাব্দী। তবে শতাব্দী আবারও বলেছেন, দলের অন্দরে যা সমস্যা রয়েছে তা অন্দরেই মিটবে। আপাতত দিল্লি যাত্রা স্থগিত।
এদিন সকাল থেকেই শতাব্দী রায়কে ঘিরে নাটকীয় একের পর এক পর্ব। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগিতা’র অভিযোগ তোলেন তিনি। জানিয়ে দেন, শনিবার ফেসবুক লাইভে নিজের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন। শতাব্দীর এই বক্তব্য ঘিরে শুরু হয় নতুন করে জল্পনা। এরপরই সাংসদের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে ছোটেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন: শতাব্দীর বাড়িতে বসে ‘বন্ধু’র আড্ডা, সামনেই এল ‘মুকুলদা’র ফোন
এর মাঝেই বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় ফোন করেন শতাব্দীকে। আগামিকাল দিল্লি যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন তিনি। যদিও দিল্লি সফর আপাতত ভেস্তে যাওয়ায় সেই বৈঠক আর হচ্ছে না ধরেই নেওয়া যায়। বৈঠকের পর কুণাল ঘোষ বলেন, “উনি নিজেই বলেছেন দলে আছেন। ওনার কিছু অভিযোগ রয়েছে। বারবার বলে লাভ হয়নি তাই ক্ষোভ ছিল। আলোচনা হয়েছে, উনি নিজেই বলেছেন এই সময় একসঙ্গে লড়াই করা দরকার। সবাই একসঙ্গে রয়েছে।”
বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী এবং যুব তৃণমূলের কংগ্রেসের কংগ্রেসের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেন কুণাল ঘোষ। প্রথমে আলাদা করে শতাব্দীর সঙ্গে, এরপর অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যান কুণাল। যদিও কী কারণে শতাব্দীর মনে ক্ষোভ জন্মেছিল, সেটা খুলে বলেননি কেউই। কুণাল বারংবার একটা বার্তা স্পষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করেন, শতাব্দীকে আপাতত ধরেই রাখতে চাইছে দল। এবং সেটার জন্য সব্বোর্চ চেষ্টা তৃণমূল নেতৃত্ব কোনও প্রয়াস বাকি রাখবে না।
আরও পড়ুন: শতাব্দীকে নিয়ে অভিষেকের অফিসে কুণাল, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে চলছে ‘মান ভঞ্জনের’ চেষ্টা