
কলকাতা: অবশেষে জেলমুক্তি পার্থর? সোমেই কাটতে পারে জট? এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সিবিআইয়ের গ্রুপ সি মামলায় রয়েছে অষ্টম ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ। এটাই শেষ সাক্ষ্য গ্রহণ। এরপর জামিনের জন্য শর্ত বাবদ দেওয়া অর্থ জমা দিলেই হতে পারে পার্থর জেলমুক্তি। তবে এই ক্ষেত্রে কতকগুলি বাধাও রয়েছে। যেমন, সাক্ষ্য় গ্রহণ কতক্ষণে শেষ হচ্ছে, তারপর উপরেই অনেকাংশে নির্ভর করে রয়েছে পার্থর-ভাগ্য। সুতরাং, সোমে খানিক বাধার সম্মুখীন হলেও, এই সপ্তাহেই নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন পাওয়ার সম্ভবনা প্রবল।
বছর ঘুরলেই ছাব্বিশের নির্বাচন। এই আবহে পার্থর জেলমুক্তি ঘটলে রাজ্য রাজনীতির সমীকরণেও অনেকটা প্রভাব পড়তে পারে বলে মত একাংশের। তবে কেউ কেউ বলছেন, তৃণমূলের অন্দরে এখন পার্থ-বিরোধী হাওয়া। দল খুঁজে নিয়েছে ‘বিকল্প’। অবশ্য, এই সবই কার্যত জল্পনা। কয়েক মাস আগেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সিবিআইয়ের মামলায় বিচার পর্ব শুরু হলে পার্থ, এসএসসির তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য ও উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহের শর্তসাপেক্ষ জামিন দিতে হবে। ১৪ই নভেম্বরের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করে চূড়ান্ত জামিনের নির্দেশও দেওয়া হয়।
এরপরেই আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে গঠিত হয় চার্জ। প্রথম দফায় মোট আট জনের সাক্ষ্য় গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালত। যাঁদের নাম প্রস্তাব করেছিল খোদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গত কয়েক মাস ধরেই চলছিল এই সাক্ষ্য় গ্রহণের কাজ। শুক্রবার অষ্টম জনের অর্ধেক সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। সোমবার হতে চলেছে এই পর্যায়ের পূর্ণ ও শেষ সাক্ষ্য গ্রহণ।
প্রসঙ্গত একুশ সালের ২২ জুলাই অর্থাৎ তৃণমূলের শহিদ দিবসের পরদিন এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। এরপর কেটে গিয়েছে ৩ বছর সাড়ে তিন মাস। জেলেই কেটেছে পার্থর জীবন। ২২ জুলাইয়ের গ্রেফতারির পর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে মোট ৯টি মামলা দায়ের হয়। যার মধ্যে ইডির ৩টি, সিবিআইয়ের ৬টি। আর এই প্রায় সবক’টি মামলাতেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন পার্থ। শুধুমাত্র গ্রুপ সি মামলার জামিন মঞ্জুর ঝুলে রয়েছে অষ্টম সাক্ষ্য গ্রহণের কারণে।