Bansdroni Accident: ভরসন্ধ্যায় বাঁশদ্রোণীর ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী রুবি দাস, তুমুল বিক্ষোভ, থানায় পৌঁছলেন সিপি

Bansdroni Accident: বুধবার অর্থাৎ মহালয়ার দিন সকালে বাঁশদ্রোণীতে এক ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে দিনভর উত্তাল হয় এলাকা। পুলিশ গেলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ চলে দীর্ঘক্ষণ। সন্ধ্যার পর গ্রেফতার হন বিজেপি নেত্রী।

Bansdroni Accident: ভরসন্ধ্যায় বাঁশদ্রোণীর ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী রুবি দাস, তুমুল বিক্ষোভ, থানায় পৌঁছলেন সিপি
থানার সামনে বিক্ষোভ বিজেপিরImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2024 | 9:45 PM

কলকাতা: মহালয়ার দিন সকাল থেকে ফুঁসছে বাঁশদ্রোণী। পেলোডারের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে নবম শ্রেণীর ছাত্রী সৌম্য শীলের। এত বড় একটা ঘটনার পরও দেখা পাওয়া যায়নি এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরের। সেই ইস্যুতে বিক্ষোভ বাড়ে আরও। তবে ভরসন্ধ্যায় বাঁশদ্রোণী-কাণ্ডে নয়া মোড়। গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেত্রী রুবি দাসকে। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

বুধবার সকালে অর্থাৎ মহালয়ার দিন সকালে বাঁশদ্রোণীতে এক ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে দিনভর উত্তাল হয় এলাকা। পুলিশ গেলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ চলে দীর্ঘক্ষণ। এরই মধ্যে সন্ধ্যার পর গ্রেফতার হলেন বিজেপি নেত্রী। বাঁশদ্রোণী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। এরপরই বিক্ষোভের আঁচ বাড়ে আরও। দলের নেতা-নেত্রীরা ইতিমধ্যেই দলীয় পতাকা নিয়ে থানার সামনে জড় হতে শুরু করেছেন।

বিজেপির দাবি, এলাকার রাস্তা বেহাল কিন্তু পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে কাউন্সিলর কারও কোনও পাত্তা নেই। এই পরিস্থিতিতে আজ এই ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার পর এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র রুবি মণ্ডলও প্রতিবাদে মুখর হন। বিজেপির দাবি, প্রতিবাদ করার অপরাধেই রুবিকে এদিন বিকেল ৪ টে থেকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়। পরে তাঁকে কোনও কারণ ছাড়া অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ।

সূত্রের খবর, স্থানীয় মানুষকে পুলিশের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রুবির বিরুদ্ধে। এদিন ওসি যখন ঘটনাস্থলে যান, তখন রুবি ছিলেন ঘটনাস্থলে। তিনি শুধু বিজেপির মুখপাত্রই নন, পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীও ছিলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে ওই নেত্রীর জন্য থানায় হাজির হন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। থানার ভিতরে বসে রয়েছেন তিনি। বিক্ষোভেৎ আবহেই থানায় প্রবেশ করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। পরে বেরিয়ে যান তিনি। যতক্ষণ না রুবিকে ছাড়া হবে, ততক্ষণ দলের নেতা-নেত্রীরা থানাতেই থাকবেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।