SIR: কলকাতায় গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী বৃদ্ধা, এনুমারেশন ফর্ম আসতে দেরি হওয়ায় চরম পদক্ষেপ?

Woman died in Kolkata: এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর পরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় এসআইআর আতঙ্কের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূল। উল্টে বিজেপির দাবি, এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে রাজ্যের শাসকদলই।

SIR: কলকাতায় গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী বৃদ্ধা, এনুমারেশন ফর্ম আসতে দেরি হওয়ায় চরম পদক্ষেপ?
প্রতীকী ছবি

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Nov 17, 2025 | 11:04 PM

কলকাতা: সব বাড়িতে এনুমারেশন ফর্ম দিয়ে যাচ্ছিলেন বিএলও-রা। কিন্তু, তাঁরা পাচ্ছিলেন না। ২ দিন আগে ফর্ম পান। তারপরও দুশ্চিন্তা কাটেনি। আর সেই দুশ্চিন্তা থেকেই এক বৃদ্ধা গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের দাবি। মৃত বৃদ্ধার নাম যমুনা মণ্ডল (৬৭)। ঘটনাটি কলকাতার পূর্ব পুটিয়ারির। মৃতের পরিবারের দাবি, ফর্ম না পেয়েই আতঙ্কে চরম পদক্ষেপ করেছেন যমুনা।

রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) জন্য গত ৪ নভেম্বর থেকে এনুমারেশন ফর্ম বিলি শুরু হয়। যমুনা মণ্ডলের পরিবার এনুমারেশন ফর্ম পাচ্ছিলেন না। অথচ তাদের আশপাশের পরিবারগুলি ফর্ম পেয়ে যায়। ওই বৃদ্ধার ছেলে মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, এই নিয়ে তাঁর মা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। আগে থেকে নার্ভেরও সমস্যা ছিল তাঁর। গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) এনুমারেশন ফর্ম পান বৃদ্ধা। তারপরও তাঁর মা আতঙ্কে ছিলেন বলে দাবি মৃত্যুঞ্জয়ের। সোমবার গায়ে আগুন দেন বৃদ্ধা। তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।

এদিকে, এদিন দক্ষিণ দমদমেও এক ব্যক্তি এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। মৃতের নাম বৈদ্যনাথ হাজরা(৪৬)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আরএন গুহ রোডে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই আতঙ্কে ছিলেন তিনি। ২ দিন আগে বাড়ি থেকে গভীর রাতে বেরিয়ে যান তিনি। মোবাইল ফোন বাড়িতে রেখে যান। সিসিটিভি ফুটেজে তাঁর বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার ছবি ধরা পড়ে। এদিন তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের স্ত্রীর দাবি, এসআইআর আতঙ্কেই তাঁর স্বামী আত্মঘাতী হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর পরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় এসআইআর আতঙ্কের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূল। উল্টে বিজেপির দাবি, এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে রাজ্যের শাসকদলই।