কলকাতা: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। কোভিড কাল কাটিয়ে কার্যত দু’বছর পর অফলাইনে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক। এত দিন নির্বাচনের পাকেচক্রে পরীক্ষার সময়সূচি নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা চলে। যদিও বা শনিবার পরীক্ষা শুরু হয়, বিতর্ক কিন্তু পিছু ছাড়েনি। বাংলা প্রশ্নপত্রে প্রশ্ন বিভ্রাট! বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। নম্বরের নিরিখে প্রশ্নের মান নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক পরীক্ষার্থী।
এবারের বাংলা পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছিল ‘ডাওর’ শব্দের অর্থ। যেখানে ৪টি অপশন দেওয়া হয়। কিন্তু ওই অপশনের মধ্যে নির্দিষ্ট প্রশ্ন উত্তর ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। ভদ্রলোক, ছোটলোক, শহরের লোক এবং গ্রামের লোক এই অপশনগুলির মধ্যে কোনও উত্তর ছিল না। উল্লেখ্য, লেখক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে ‘ডাওর’ শব্দটি পাওয়া যায়। সেখানে বলা হয়েছে, রাঢ় বাংলায় ‘ছোটলোকেরা’ শীতকালীন বৃষ্টিকে ‘ডাওর’ বলে থাকেন। পরীক্ষার্থীদের মতে, উত্তর হওয়া উচিত ছিল ‘শীতকালীন বৃষ্টি’। কিন্তু সেই অপশনই নেই বলে অভিযোগ তাঁদের। শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের দাবি, প্রশ্নপত্রে ‘ছোটলোক’ শব্দটিই রাখা উচিত ছিল না। এই শব্দটির ব্যবহার আজকের গণতান্ত্রিক পরিবেশে গ্রহণযোগ্য নয়।
এছাড়াও প্রশ্নপত্রে ‘বর্ধমানে কোন গান বেআইনি’ বলে যে প্রশ্ন করা হয়, তার উত্তরও জানা নেই বলে অনেকে দাবি করেন। এমন প্রশ্ন বিভ্রাট নিয়ে চাপান-উতর তৈরি হয়েছে সংসদের অন্দরেও। জানা গিয়েছে, অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল প্রশ্ন পত্রে। যদি কোনও পরীক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন, তাঁকে সম্পূর্ণ নম্বর দেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। প্রশ্ন পত্র ভুলের ক্ষেত্রে প্রতি বছর এমনই পদক্ষেপ করা হয় সংসদের তরফে। যদিও, এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রশ্ন-বিভ্রাট নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি সংসদ। তাই, আদৌ এই ভুল প্রশ্নে নম্বর মিলবে কি না সংশয়ে রয়েছেন পরীক্ষার্থীরা!
আরও পড়ুন- উপাচার্যের ঘরে ঢুকে ‘চড় মারব’ বলে হুমকি টিএমসিপি নেতার, ডেকেও পাওয়া গেল না পুলিশকে