Yellow Taxi: সেই যে হলুদ ট্যাক্সি…সত্যিই ফিরছে কলকাতায়
Yellow Taxi: কলকাতার ঐতিহ্য ধরে রাখতে সুজুকির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই। সূত্রের খবর, কোভিডকালের আগে কলকাতায় রাস্তায় সাড়ে ১৬ হাজারের কাছাকাছি হলুদ ট্যাক্সি দেখা যেত। এখন সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ থেকে ৮ হাজার।

কলকাতা: অবলুপ্তির পথে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী হলুদ ট্যাক্সি। বাতিল খাতায় পড়ে গিয়েছে ১৫ বছরের পুরনো অ্যাম্বাসাডর। মাথায় হাত চালকদের। যা নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই বারেবারে বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে বৈঠক করেন সব ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষকর্তারা। দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানানো হয়। কীভাবে ঐতিহ্যবাহী হলুদ ট্যাক্সিকে ফের রাস্তায় ফেরানো যায় ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছিল তখন থেকেই। হলুদ ট্যাক্সির ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে এল মারুতি সুজুকি। গায়ে হলুদ মেখে রাস্তায় নামছে Wagon R. তা নিয়েই এখন জোর চর্চা।
এদিন শহর কলকাতায় এই হলুদ Wagon R এর যাত্রার সূচনা করা হল মারুতি সুজুকির পক্ষ থেকে। ৬ লাখের এই গাড়ি সহজ ইএমআই কিস্তিতে কিনতে পারবেন আগ্রহীরা। এমনটাই বলছে সংস্থা। সংস্থার পক্ষ থেকে রমেশ চন্দ্র আগারওয়াল বলছেন, “আজ ৩০টি হলুদ Wagon R ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। মাঝে মধ্যস্থতা করছে একটি সংস্থা। আগে যেমন হলুদ রঙের অ্যাম্বাসাডর পাওয়া যেতে সেরকমই দেখতে গাড়ি আমরা বাজার আনার চেষ্টা করছি। এই গাড়িগুলি পুরোপুরিভাবে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার হবে। আমরা এর নাম দিয়েছি হেরিটেজ ক্য়াব। মূলত এগুলো সিএনজি ক্যাপ। দাম ৬ লাখের মধ্যে। ইএমআই-ও সহজেই দেওয়া যাবে।”
প্রসঙ্গত, কলকাতার ঐতিহ্য ধরে রাখতে সুজুকির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই। সূত্রের খবর, কোভিডকালের আগে কলকাতায় রাস্তায় সাড়ে ১৬ হাজারের কাছাকাছি হলুদ ট্যাক্সি দেখা যেত। এখন সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ থেকে ৮ হাজার। এরমধ্যেই প্রচুর ট্যাক্সির বৈধ নথি নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। চালকের অভাব ও অন্যান্য কারণে বসে ৬,৫০০ ট্যাক্সি। এদিকে হলুদ ট্যাক্সি অর্থাৎ এই অ্য়াম্বাসাডর তৈরি করতো হিন্দুস্তান মোটরর্স। কিন্তু, ২০১৪ সাল থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন বন্ধ। ফলে যেগুলি রাস্তায় রয়েছে সেগুলি খারাপ হলেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয় চালকদের। এমতাবস্থায় সুজুকি ময়দানে নামলেও দিনের শেষে কতটা বাজার ধরতে পারে সেটাই দেখার।





