
কলকাতা: জলই-জীবন কৃষ্ণের। নিজের বাড়ির পিছনের পুকুর তিনি যেন একেবারে হাতের তালুর মতো চেনেন। সেই কারণেই যখন তার বাড়িতে সিবিআই বা ইডি চলে আসে, বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক সাহায্য় নেন ওই পুকুরেরই। যেমনটা নিয়েছিলেন ২০২৩ সালে, তেমনটাই নিলেন সোমবারও।
তবে একই ছলনা কি বেশিদিন চলে? ‘কীর্তিমান’ জীবনের ক্ষেত্রে তা চলল না। উল্টে ইডির ছলনায় ফেঁসে গেলেন তিনি। সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা তার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে আসতেই জীবনকৃষ্ণ পিছনের পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। নিজের ফোনটিকে ছুড়ে ফেলে দেন পুকুরের দিকে। তবে এবারে আর গভীরে তলিয়ে যায়নি ফোনটি। আটকা পড়েছিল পাড়েই। যেমন পালাতে গিয়ে ড্রেনে পড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে আটকা পড়েন জীবন।
তখনই বিধায়কের কাছে তার ফোনটি চান ইডি আধিকারিকরা। ফোনটা কোথায় পড়ে গিয়েছে, সেই কথাই জীবনের থেকে জানতে চান তদন্তকারীরা। কিন্তু মুখ খোলেন না বিধায়ক। এমনকি, এই সময় তার ফোনে বারংবার কল করা হলেও, কোনও শব্দ পাওয়া যায়নি। পরে জানা গিয়েছিল, অনেকক্ষণ জলে পড়ে থাকা মোবাইলের স্পিকার জল ঢুকে গিয়েছিল।
তা হলে কীভাবে উদ্ধার হল জীবনের ফোন? সূত্রে খবর, ফোন উদ্ধারে জীবনকে ‘ছলনায়’ ফেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। দেওয়া হয় ‘মুক্তির’ টোপ। তাকে বলা হয়, ‘মোবাইলটা হাতে তুলে দিলেই তাকে রেহাই করে দেওয়া হবে। এখানে তাকে কেউ গ্রেফতার করতে আসেনি।’ টোপ গিলতে বেশি সময় লাগান না জীবনকৃষ্ণ। নিজেই গিয়ে ফোন জল থেকে তুলে এনে ধরিয়ে দেন ইডির হাতে। এরপর তাকে টেনে ইডি তুলে নেয় গাড়িতে। সাতসকালে দুর্নীতি মামলায় ফের গ্রেফতার বড়ঞার বিধায়ক।