বিরাটি: দোকানের সামনের সেই অংশে এখনও পড়ে চপ্পল জোড়া। রক্ত রাতেই জল দিয়ে ধুঁয়েছে পুলিশ। কিন্তু ছোপ রয়েছে এখনও। পুলিশ বিরাটির বণিক মোড়ের (Birati TMC Murder Case) সেই দোকানের সামনে এখনও ব্যারিকেড করে রেখেছে। একুশের রাতে এই দোকানের সামনেই গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন বছর উনচল্লিশের শুভ্রজিত্ দত্ত। একুশের দলীয় কর্মসূচি সেরে রাতে বণিক মোড়ে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। দুষ্কৃতীরা তাঁকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে এসেছে একাধিক তত্ত্ব।
এলাকায় ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা করতেন শুভ্রজিত্। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, একুশের সকালেই স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তি বাবুলালের সঙ্গে বচসা হয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর। বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন শুভ্রজিত্। এলাকায় একাধিক খারাপ কাজের জন্য পরিচিত বাবুলাল। একুশের দুপুরের বচসায় মাথা ফেটে যায় তাঁর। তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তারপর রাতেই বণিক মোড়ের এই ঘটনায় বাবুলাল-যোগ খুঁজে পাচ্ছে পুলিশ। পরিবারের তরফেও তেমনটাই অভিযোগ করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ফেরার ছিলেন বাবুলাল। সপ্তাহ খানেক আগেই ফিরেছিলেন। বাবুলালের কাছ থেকে টাকা পেতেন শুভ্রজিত্। সেই টাকা নিয়েই বচসার সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।
পুরনো কোনও শত্রুতাও এর পিছনে কাজ করছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একাধিক স্থানীয় ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে, হাসপাতালেও পুলিশি নজরদারিতে রয়েছেন বাবুলাল।
বুধবার রাত প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ বিরাটির বণিক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিত্। বাইকে বেশ কয়েকজন যুবক তাঁকে অনুসরণ করছিলেন। বণিক মোড় থেকে কিছুটা এগিয়ে আসতেই একটি দোকানের সামনে অতর্কিতে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন ওই যুবকরা। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন শুভ্রজিৎ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আরও পড়ুন: পিছন থেকে এলোপাথাড়ি গুলি! একুশের কর্মসূচি সেরে ফেরার পথেই খুন তৃণমূল কর্মী