Government Hospital: হয়রানি চরমে! সকাল ১১টাতেও ডাক্তারের দেখা নেই, শহরের হাসপাতালগুলিতে রোগীদের লম্বা লাইন
সাধারণত সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে রোগী দেখার সময় শুরু সকাল ৯টা থেকে। কিন্তু, ঘড়ির কাঁটা ১১টার ঘরে চলে গেলেও কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলিতে ডাক্তারদের দেখা মেলে না বলে অভিযোগ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, সাধারণত সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে রোগী দেখার সময় শুরু সকাল ৯টা থেকে। ‘ফার্স্ট কাম, ফার্স্ট সার্ভ’ ভিত্তিতেই রোগী দেখা হয়। সেজন্য দূরদূরান্ত থেকে রোগীরা সাতসকালে হাসপাতালে এসে আউটডোরে ডাক্তার দেখানোর টিকিট কেটে লাইনে দাঁড়ান। কিন্তু, ঘড়ির কাঁটা ১১টার ঘরে চলে গেলেও এদিন ডাক্তারদের দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, নীলরতন সরকার, আরজিকর সহ কলকাতার প্রায় সমস্ত সরকারি হাসপাতালেই এদিন একই ছবি ধরা পড়ল।
যদিও এটা রোজকার ব্যাপার বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোগীদের অনেকেই। তাঁদের অভিযোগ, সকাল ৯টা থেকে আউটডোরে রোগী দেখার সময়। কিন্তু, ১০টার আগে ডাক্তারদের দেখা মেলেনি। আবার অনেকের অভিযোগ, ডাক্তার দেখানোর জন্য সকাল থেকে ৩-৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। অথচ ডাক্তার রোগীদের জন্য ৩ মিনিটও সময় দেন না। দেড়-দু-মিনিটের মধ্যেই রোগী দেখা হয়ে যায়। শারীরিক সমস্যার কথা বিস্তারিতভাবে জানানোর আগেই আউটডোরের ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশন লিখে দেন বলে সরকারি হাসপাতালের রোগীদের অভিযোগ। যদিও এব্যাপারে চিকিৎসকদের দাবি, রোগীর প্রচণ্ড চাপ, সেজন্য বেশি সময় দেওয়া সম্ভব হয় না।
অন্যদিকে, আউটডোরে ডাক্তার আসার দেরি হওয়া প্রসঙ্গে NRS মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহ অধ্যক্ষ বলেন, “সকাল ৯টা আউটডোর শুরু করার কথা আমরা নিয়মিত দেখি। সেটা প্রতিদিনই হয়।” কিছুক্ষেত্রে সিনিয়র চিকিৎসকদের আসতে দেরি হয়। হাসপাতালে রোগীদের রুটিন ভিজিট করে আসতে কিছুটা দেরি হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। তুলনামূলকভাবে চিকিৎসকের সংখ্যা কম হওয়ায় এই সমস্যা হয়। তবে জুনিয়ার চিকিৎসকেরা আউটডোরে চলে যান বলে জানিয়েছেন NRS-এর সহ-অধ্যক্ষ। তাঁর আরও দাবি, “যে সমস্ত বিভাগে ভিড় হয়, সেগুলিতে ডাক্তার আসতে দেরি করা হয় না।” অন্যদিকে, চিকিৎসকদের দেরিতে আসার অভিযোগের বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন আর.জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ।