AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kuntal Ghosh: অগ্রিম নিয়েও পার্থর গ্রেফতারিতে ভন্ডুল অযোগ্যদের নিয়োগ, কুন্তলের ডায়েরিতেই কোটি কোটির অঙ্ক পেল ED

Kuntal Ghosh: চার্জশিটে উল্লেখ, ২০১৭-র টেট পরীক্ষাতেও পাশ করাতে রেট বেঁধে দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ।

Kuntal Ghosh: অগ্রিম নিয়েও পার্থর গ্রেফতারিতে ভন্ডুল অযোগ্যদের নিয়োগ, কুন্তলের ডায়েরিতেই কোটি কোটির অঙ্ক পেল ED
অলংকরণ- TV9 বাংলা
| Edited By: | Updated on: Apr 12, 2023 | 5:43 PM
Share

কলকাতা: চাকরি দেওয়ার নামে যে কুন্তল ঘোষ টাকা নিতেন, তা জলের মতো পরিষ্কার। চাকরি দেবেন বলে প্রার্থীদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিতেন বলেই অভিযোগ। প্রাথমিক শিক্ষক, গ্রুপ ডি কর্মী, ক্লার্ক- এমন একাধিক সরকারি পদে চাকরি দেওয়ার নামে কুন্তল কোটি কোটি টাকা তুলতেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে ইডি। চলতি মাসে কেন্দ্রীয় সংস্থা যে চার্জশিট পেশ করেছে, সেখানে কুন্তলের ডায়েরির একটি বিশেষ অংশের উল্লেখ করা হয়েছে।

কুন্তলের ডাইরিতে ‘অফিসার গোল্ড’ লেখা একটি অংশ ছিল বলে দাবি ইডি-র। সেখানেই রয়েছে চাকরি ও টাকার হিসেব!

১. নবম দশমে নিয়োগের জন্য ৩৫ জন প্রার্থীর কাছ থেকে ২০ লক্ষ করে টাকা নেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ মোট ৭ কোটি।

২. প্রাথমিকে ৯৮ জনের থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে তোলা হয়েছিল। অর্থাৎ মোট প্রায় ৮ কোটি।

৩. আপার প্রাইমারিতে ৪৬৬ জন প্রার্থীর থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা করে তোলা হয়েছিল। অর্থাৎ মোট প্রায় ১৬ কোটি।

৪. গ্রুপ ডি পদে ৫২ জন প্রার্থীর থেকে নিয়োগের জন্য তোলা হয়েছিল ৬ লক্ষ টাকা করে। অর্থাৎ মোট প্রায় ৩ কোটি।

১০০ কোটিরও বেশি তুলেছিলেন কুন্তল

এখানেই রয়েছে মোট ৩৪ কোটির দুর্নীতির হিসেব। তাপসের ডায়েরি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেই ৩৪ কোটির মধ্যে গোপাল দলপতিকে দেওয়া হয়েছিল ১৬ কোটি, আর তাপস মণ্ডলের কাছে গিয়েছিল ১৮ কোটি। তাপস আবার গোপালের থেকে ঋণ বাবদ নিয়েছিলেন ১০ কোটি। অর্থাৎ তাপসের কাছে ২৮ কোটি ছিল। এই টাকা থেকে নিজের কমিশন কেটে নিতেন কুন্তল ঘোষ। চার্জশিটে ইডি-র অভিযোগ, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদে বেআইনিভাবে নিয়োগের জন্য কুন্তল ১০০ কোটিরও বেশি টাকা তুলেছিলেন।

পার্থ-মানিক গ্রেফতার হওয়ার পর চাকরি দিতে পারেননি কুন্তল?

চার্জশিটে উল্লেখ, ২০১৭-র টেট পরীক্ষাতেও পাশ করাতে রেট বেঁধে দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। হুগলির বিসি রায় ইন্সটিউট থেকে মোট ২০ জন টাকা দিয়েছিলেন কুন্তলকে। ৪ লক্ষ করে রেট বেঁধে দিয়েছিলেন কুন্তল। অগ্রিম মোট ৭৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। ওই ২০ জনের নাম প্রাথমিকের ওয়েবসাইটে পাশ হিসেবে দেখানো হলেও আরটিআই করে তাঁরা জানতে পারেন তাঁরা উত্তীর্ণ হননি। পরে অবশ্য কুন্তল ঘোষ তাঁদের টাকা ফেরতও দিয়ে দেন। প্রার্থীদের কাছে কুন্তল দাবি করেছিলেন, ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছেন, তাই ওই ২০ জনের চাকরি আটকে যায়।