কাঁথি: অধিকারী গড় বলে পরিচিত কাঁথিতে এবার পুরভোটে টিকিট পাননি শান্তিকুঞ্জের কোনও সদস্যই। শুভেন্দু পরিবারের কাউকে কেন টিকিট দিল না বিজেপি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শাসক দল। আর ভোটের দিন সকাল থেকেই অশান্তির ছবি ধরা পড়ল সেই কাঁথিতে। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কাঁথি পুরসভা এলাকা। সৌমেন্দু অধিকারীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামে পুলিশ। অন্যদিকে, বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, মহিলাদের এসে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন খোদ মন্ত্রী অখিল গিরি।
ভোটের দিন সকালেই অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন সৌমেন্দু। সিআরপিএফ নিয়ে বুথে গিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন মন্ত্রী অখিল গিরি। তবে, সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁর পাল্টা অভিযোগ তৃণমূল কাঁথির ২নম্বর ওয়ার্ডে বুথ জ্যাম করছে, ছাপ্পা দিচ্ছে।
বেলা বাড়তেই সৌমেন্দুর গাড়ি ঘিরো বিক্ষোভের ছবি সামনে আসে। কাঁথির ২নম্বর ওয়ার্ডে কার্যত উত্তেজনা ছড়ায়। গেরুয়া শিবিরের দাবি, বহিরাগতরা জমায়েত করে সৌমেন্দুর গাড়ি ঘিরে। গাড়ি ভেঙে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী, নামানো হয় ব়্যাফ। জমায়েত ছত্রভঙ্গ করা হয়।
এ দিন অখিল গিরি বলেন, সিআরপিএফ নিয়ে এসে প্ররোচণা দেওয়া হচ্ছে। যে বুথে ১৩, ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ চলছে, সেখানেই এই ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, সৌমেন্দু ওই বুথের ভোটার নন, বারবার তাঁকে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হচ্ছে, তারপরও তিনি যাচ্ছে না। মানুষ গো ব্যাক বলছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এই অশান্তির মাঝেই আক্রান্ত হন দুই তৃণমূল কর্মী। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় তাঁকে। অন্যদিকে, বিজেপির মহিলা কর্মীরা অভিযোগ করেন, মহিলাদের অখিল গিরি হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘দাঁত ভেঙে দেব’। পুলিশ মহিলাদের কোনও সুরক্ষা দিচ্ছে না বলেও দাবি করেন তাঁরা।