Bankura TMC: ‘উন্নয়ন হবে তৃণমূল কার্যালয় থেকেই, বিরোধী কাউন্সিলর উন্নয়ন করতে পারবে না’ নিদান ঘাসফুল নেতার
Bankura: শাসক দলের নেতার এই ধরনের বক্তব্য গনতন্ত্রের পরিপন্থী দাবি বিরোধীদের।
বাঁকুড়া: ‘রাজ্য সরকার তৃণমূলের, পুর বোর্ড তৃণমূলের, পুরপ্রধান তৃণমূলের! তাই এলাকার নির্বাচিত বিরোধী কোনও কাউন্সিলর কোনও উন্নয়ন করতে পারবে না। উন্নয়ন করতে হবে স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয় থেকে।’ গতকাল রাতে দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করতে গিয়ে তৃণমূলের শহর সভাপতির এই বক্তব্যে নতুন করে বিতর্কের ঝড় উঠল বাঁকুড়ার রাজনীতিতে। শাসক দলের নেতার এই ধরনের বক্তব্য গণতন্ত্রের পরিপন্থী দাবি বিরোধীদের।
সদ্য শেষ হয়েছে বাঁকুড়া পুরসভার নির্বাচন। সেখানে দলীয় টিকিট না পেয়ে সাত নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল হিসাবে লড়াই করেন বিগত পুর বোর্ডের উপ পুরপ্রধান দিলীপ আগরওয়াল। নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন ওই নির্দল প্রার্থী। স্বাভাবিক ভাবেই দলের সঙ্গে দূরত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীর। এবার জয়ী সেই নির্দল কাউন্সিলরকেই আক্রমণ করল বাঁকুড়া শহর তৃণমূল নেতৃত্ব।
গতকাল, সাত নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনে গিয়ে তৃণমূলের বাঁকুড়া শহর সভাপতি সিন্টু রজক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সরকার তাঁদের, পুরসভা তাঁদের দখলে, পুরপ্রধানও তৃণমূলের। স্বাভাবিক ভাবে নির্দল কাউন্সিলর নয়, এলাকার উন্নয়ন করা হবে তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয় থেকেই। এবার বাঁকুড়া তৃণমূলের সভাপতির এই বক্তব্যের পরই সমালোচনায় সরব হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল।
বিষয়টি নিয়ে নির্দল কাউন্সিলর বলেন, “তৃণমূলের শহর সভাপতি পাগল হয়ে গিয়েছেন। তিনি সরকারি নিয়ম না জেনেই একথা বলছেন। বিজেপির দাবি সিন্ডিকেট ও তোলাবাজি করার জন্যেই বিরোধীদের পাত্তা না দিয়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে উন্নয়ন হবে একথা বলা হচ্ছে।” বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নেতা পার্থ সারথি কুণ্ডু বলেন, “এখানে বিরোধী বল যারা তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ। তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন, টিকিট না পেয়ে নির্দলে গিয়ে জয়যুক্ত হয়েছেন তাঁরা সমস্থ কিছু চালাবে তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে। এই কাটমানি, ভাগ-বাটোয়ারা সমস্থ কিছু সেখান থেকে নির্ধারিত হবে। তাই দলগত ভাবে সমস্থটাই তৃণমূল ভবন থেকে পরিচালিত হবে।”
আরও পড়ুন: Basirhat Minor Harassment: সঙ্গে ছিলেন হবু বর, তাঁর হাত থেকেই ছিনিয়ে নিয়ে ‘ধর্ষণ’ নাবালিকাকে!