Homemade Face packs: হাজার রকমের প্রসাধনী ছেড়ে এই ৪ ফেসপ্যাক মাখুন, বয়স বাড়লেও ত্বকের জেল্লা হারাবে না
Natural Skin Care: রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ত্বকে খুব বেশি উপকারিতা প্রদান করতে পারে না। এর চেয়ে অনেক বেশি উপযোগী হয় হোমমেড ফেসপ্যাক। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক। এতে কোনও ক্ষতিকারক উপাদান থাকে না।

বাজারচলতি ফেসপ্যাকের কদর দিন দিন কমছে। রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ত্বকে খুব বেশি উপকারিতা প্রদান করতে পারে না। এর চেয়ে অনেক বেশি উপযোগী হয় হোমমেড ফেসপ্যাক। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক। এতে কোনও ক্ষতিকারক উপাদান থাকে না। বরং, প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলে ত্বকের সমস্যা কমে এবং জেল্লা বাড়ে। তার সঙ্গে পকেটও বাঁচে। তাছাড়া আপনি চাইলে প্রতিদিনই হোমমেড ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের কোনও ক্ষতি হয় না। কোন কোন উপাদান দিয়ে ফেসপ্যাক বানাতে পারবেন, দেখে নিন।
মধু ও লেবুর ফেসপ্যাক: মধু সবচেয়ে উপযোগী প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বককে হাইড্রেট রাখে। তাছাড়া মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বককে ব্রণ ও প্রদাহের হাত থেকে রক্ষা করে। লেবুর রসে থাকা ভিটামিন সি ত্বকে কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে এবং জেল্লা বাড়িয়ে তোলে। ১ চামচ মধুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখুন। ৫-৬ মিনিট মুখ ধুয়ে ফেলুন।
টক দই ও হলুদের ফেসপ্যাক: টক দইয়ের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বক পরিষ্কার করতে, এক্সফোলিয়েট করতে এবং ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন যৌগ ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ১ চামচ টক দইয়ের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করতে পারেন।
কলা ও মধুর ফেসপ্যাক: কলার মধ্যে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখতে এবং পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। আর মধু ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে ত্বকের সমস্যা কমায়। অর্ধেক পাকা কলা হাতে করে চটকে মেখে নিন। এতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে মাখুন।
শসা ও অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক: ত্বকের জ্বালাভাব কমায় এবং কুলিং এফেক্ট প্রদান করে শসা। অন্যদিকে অ্যালোভেরা ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। ১ চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে শসা কুড়ে মিশিয়ে দিন। এই ফেসপ্যাক ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করলে আরও বেশি উপকার মেলে।
