Breakup: বিচ্ছেদের কষ্ট ভুলতে রিবাউন্ড খুঁজছেন? ব্রেকআপের পর এই ৫ কাজ করলে আপনিই ভুগবেন
Relationship Tips: বিচ্ছেদের যন্ত্রণা কখনওই কম হয় না। এক মাস সম্পর্কে থাকুক বা এক বছর—কাউকে ভালবাসলে সহজে ভুলে যাওয়া যায় না। বিচ্ছেদের যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসা কারও পক্ষেই সহজ নয়। যদি অ্যাটাচমেন্ট না থাকে তাহলেও কিছুটা স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যায়।

খুব বেশি দিনের সম্পর্ক ছিল না শ্রেয়া ও কুণালের। ডেটিং অ্যাপে আলাপ হলেও দু’জন দু’জনের মনের মানুষ হয়ে উঠেছিল খুব কম সময়ে। প্রথম-প্রথম ২-৩ সপ্তাহ ছাড়া দেখা হত। প্রেমে পড়ার পর ওদের দু’জনেরই লাইফস্টাইল বদলে যায়। সকালে ঘুম থেকে ওঠা, অফিস যাওয়া, অফিসের পর দেখা করা, রাত জেগে ফোনে কথা বলা—দু’জন দু’জনের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি সময় পেলেই দু’জনে বেড়িয়ে পড়ত ঘুরতে। কিন্তু বছর শেষ হতে না হতেই হঠাৎ করে সুখের সম্পর্কে ভাঙন ধরে। ভালবাসা থাকা সত্ত্বেও একে-অপরের থেকে দূরে চলে যেতে শুরু করে শ্রেয়া ও কুণাল। শেষ অবধি প্রেমটা টেকে না ওদের। তারপর কী হল?
বিচ্ছেদের যন্ত্রণা কখনওই কম হয় না। এক মাস সম্পর্কে থাকুক বা এক বছর—কাউকে ভালবাসলে সহজে ভুলে যাওয়া যায় না। বিচ্ছেদের যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসা কারও পক্ষেই সহজ নয়। যদি অ্যাটাচমেন্ট না থাকে তাহলেও কিছুটা স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যায়। কিন্তু যাকে ঘিরে গোটা জগত, তাকে ছাড়া থাকা যায় নাকি? থাকতে হয়। আর এমন পরিস্থিতিতেই মানুষ ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। ব্রেকআপের পর একা থাকা, নিজের মতো পথ চলা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। কেউ খুঁজে নেয় রিবাউন্ড, আবার কাউকে কুড়ে কুড়ে খায় একাকিত্ব। এই সময় কোন কাজগুলো করলে আপনারই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে জানেন?
১) বিচ্ছেদের যন্ত্রণা ভুলতে অনেকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে মন দেয়। ডায়েট মেনে খাবার খায়। জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটায়। এই অভ্যাস আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর। জিমে যান, ডায়েট করুন কিন্তু অতিরিক্ত করবেন না। কঠোর ডায়েট করতে গিয়ে দেহে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট করুন।
২) ব্রেকআপের পর রিবাউন্ড খুঁজে নেওয়ার ভুল করবেন না। এমনকি ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডের মতো বিষয়ও আপনার জন্য ক্ষতিকর। এক এক দিন এক এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে আপনারই ক্ষতি। অনেক সময় এতে হিতে বিপরীতও হতে পারে। নতুন বন্ধু বানাতে পারেন, মানুষের সঙ্গে মিশতে পারেন কিন্তু রিবাউন্ড খুঁজবেন না।
৩) প্রাক্তনের সঙ্গে কাটানো সময় ভুলতে কাজে মন দিয়েছেন। সারাক্ষণ নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখছেন। সময় পেলে বেড়াতেও বেড়িয়ে পড়ছেন। এতে কিন্তু আদতে কোনও লাভ হচ্ছে না। আপনাকে পেশা ও নেশার মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হবে। ওয়ার্কহোলিক হয়ে পড়লে আপনিই সমস্যায় পড়বেন।
৪) সম্পর্ক ভাঙার পর নিজেকে গুটিয়ে নেন অনেকে। কেউ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে চলে যান। আবার কেউ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দেন। একাকিত্ব গ্রাস করে। এটা মোটেও ভাল নয়। এতে ডিপ্রেশন আরও বাড়বে। বরং, ব্রেকআপের কষ্ট ভুলতে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটান।
৫) এক সম্পর্ক ভেঙেছে বলে জীবন সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়বেন না। একটি মানুষকে ঘিরে আপনার জগত ছিল ঠিকই, কিন্তু সেই শেষ কথা হতে পারে না। একটা সম্পর্ক টিকল না মানেই জীবনের সব শেষ নয়—এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং, জীবনকে নিজের মতো করে উপভোগ করুন।
