বেশিক্ষণ AC-তে থাকছেন! জানেন ত্বকের কী ক্ষতি করছেন?
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটালে ত্বকে টান পড়ে। ত্বকের আর্দ্রভাব কমে যায়। বাইরে বেরলে যতই নাকের দু’পাশ দিয়ে তেল গড়াক, এসি রুমে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বক শুকিয়ে যায়।

উৎকট গরমে সকলেই চায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে। যেহেতু বঙ্গে এখন বৃষ্টির দেখা নেই, তাই আরাম পেতে বাতানুকূল যন্ত্রই ভরসা। অফিসে গিয়ে টানা ৮-৯ ঘণ্টা এসিতে থাকেন। আবার বাড়ি ফিরেও সবার আগে এসি চালিয়ে নেন। রাতে এসি ছাড়া ঘুম হয় না অনেকের। দিনের বেশিরভাগ সময় শীতাতপ ঘরে কাটানো শুধু যে স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে, তা নয়। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আপনার ত্বকও। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটালে ত্বকে টান পড়ে। ত্বকের আর্দ্রভাব কমে যায়। বাইরে বেরলে যতই নাকের দু’পাশ দিয়ে তেল গড়াক, এসি রুমে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বক শুকিয়ে যায়।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে দীর্ঘক্ষণ থাকলে ত্বক লাল হয়ে যায়, ঠোঁট শুকিয়ে যায়, ত্বকের উপর দেখা যায় সূক্ষ্মরেখা। ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় ত্বকের প্রাকৃতিক জেল্লা। এমন অবস্থায় আপনি কীভাবে ত্বকের খেয়াল রাখবেন? রইল টিপস।
১) গরমে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করছেন না? কিন্তু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলে আপনাকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতেই হবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে প্রবেশ করার আগে ত্বকের উপর মেখে নিন ময়েশ্চারাইজার। অফিসের ব্যাগে ময়েশ্চারাইজার রেখে দিন। কাজের ফাঁকে লাগিয়ে নিন। এতে ত্বকের কোমলতা বজায় থাকে। গরমে ভারী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। তৈলাক্ত ত্বক হলে অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
২) এই গরমে জলই সুস্থ থাকার একমাত্র দাওয়াই। গরমে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এতে আপনার ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকবে। কিন্তু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে দীর্ঘক্ষণ থাকলে জল তেষ্টা কম পায়। কিন্তু এমনটা করলে চলবে না। ত্বকের খেয়াল রাখলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসেও আপনাকে জল পান করতে হবে। এই সময় আপনাকে ৩-৪ লিটার জল পান করা আবশ্যিক।
৩) শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে ঠোঁটও শুকিয়ে যায়। তাই সঙ্গে লিপ বাম রাখতে পারেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঠোঁটে বুলিয়ে নিন লিপ বাম। আপনি যে কোনও পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন।
৪) একটানা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে থাকবে না। এতে মারাত্মক ক্ষতি হয় আপনার ত্বকের। তাই মাঝে মাঝে এসি রুম থেকে বেরিয়ে বাইরের স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেও সময় কাটান। মাঝে মাঝে এসি বন্ধও করে দিতে পারেন।
৫) সপ্তাহে একদিন ময়েশ্চারাইজিং ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। কলার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে ত্বকের উপর লাগাতে পারেন। এতে ত্বকের কোমল থাকে। এছাড়া আপনি প্রতিদিন কাঁচা দুধ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন। এতেও আপনার ত্বকের কোমলভাব বজায় থাকবে।
