
ঘাম (sweating) নিঃসন্দেহে সকলের কাছেই অস্বস্তির কারণ। অতিরিক্ত ঘাম কখনও আগাম শরীর খারাপেরও লক্ষণ। ঘাম হওয়ার সাধারণ কিছু কারণ রয়েছে। সে সম্পর্কে জানা থাকলে, তার মধ্যে কিছু সমাধান নিজেই করে ফেলা সম্ভব। যেমন, জীবনে উদ্বেগ কমাতে পারেন বা বদলে ফেলতে পারেন দৈনন্দিন ডায়েট চার্ট। তা করার আগে জেনে নিন অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সাধারণ কিছু কারণ।
হরমোন
শরীরে হরমোনের (hormone) পরিবর্তন হলে বা ব্যালান্সের অভাব থাকলে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সম্ভবনা দেখা যায়। পিউবার্টি, প্রেগন্যান্সি বা মেনোপজের সময় হরমোনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
ডায়েট
মেনুতে নির্দিষ্ট কিছু পদ থাকলে ঘাম বেশি হতে পারে। মাংস, নুন, কফি, তেল-মশলা জাতীয় খাবার খেলে ঘাম হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। আসলে আমরা যা খাই, তার প্রতিফলনই ঘটে ত্বকে। ফলে ঘাম নিয়ন্ত্রিত করতে গেলে ফল বা শাকসব্জি মেনুতে রাখুন। পরিমাণ মতো জলও খেতে হবে।
আরও পড়ুন, অনলাইনে পড়ছে সন্তান, অভিভাবক হিসেবে কী সতর্কতা নেবেন?
স্ট্রেস
কোনও কারণে স্ট্রেস বেশি হলে, কোনও বিষয়ে উদ্বেগে থাকলে ঘাম বেশি হতে পারে। এ সব সময় অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণ বেশি হয়। ফলে হার্ট রেট বেড়ে যায়। সে কারণেই ঘাম বেশি হয়।
আবহাওয়া
ভারত গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। এখানকার আবহাওয়ার কারণেই অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি। ফলে ঘাম হওয়াটা স্বাভাবিক। যদি অন্য কোনও আবহাওয়া থেকে হঠাৎ করে গ্রীষ্মপ্রধান জায়গায় গিয়ে থাকতে শুরু করেন, তাহলে হঠাৎ পরিবর্তনে ঘামের সমস্যা বাড়তে পারে।প
আরও পড়ুন, ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে মেকআপ ছাড়াই সুন্দর থাকবেন?
ওষুধ
নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ থেকেও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। আপনি কী ওষুধ নিয়মিত খান, আর তা থেকেই অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে কিনা, তা বলতে পারবেন আপনার চিকিৎসক। প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।