ঘুম থেকে উঠেই ত্বক ও চুলের জন্য নির্দিষ্ট চুলের রুটিন (Hair Care Routine) মেনে চলেন। কিন্তু সেই চেষ্টার ত্রুটি না রাখা সত্ত্বেও পছন্দের সেলেব্রিটিদের মত উজ্জ্বল (Glossy Hair) , চকচকে ও মজবুত চুলের অধিকারী হতে পারা যায় না। সিনেমার পর্দার তারকারা নিজেদের সৌন্দর্য় বজায় রাখতে বিভিন্ন পণ্য ব্য়বহার করেন। চুলের ভলিউম (voluminous hair) ও টেক্সচার ধরে রাখতে একাধিক উপায় অবলম্বন করে থাকেন। কিন্তু এটা মনে করার অবকাশ নেই যে, তাঁর সর্বক্ষণ ঠান্ডা ঘরে কাজ করেন। অত্যাধিক গরম, সূর্যের তাপে ও দূষণের মধ্যেও তাঁরা নিজেদের সেরাটা দিতে চেষ্টা করেন। তবুও তাঁদের সৌন্দর্য ও চুলের জেল্লা চোখে পড়ার মতন।
এর পর প্রশ্ন জাগতে পারে যে সেলেব্রিটি যাঁরাই হোন, তাঁদের চুল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণের থেকে অনেক ভাল? টাইমস নাও সংবাদমাধ্যম অনুসারে, সম্প্রতি প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের (Aishwarya Rai Bachchan) চুলের গোপন রহস্যের কথা জানা গিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম সুন্দরী এই অভিনেত্রীর চুলের সৌন্দর্যের কথা বলার বিশাল কারণ রয়েছে। বলিউডে তাঁর মত অসাধারণ ভলিউম-যুক্ত চুল, মসৃণ, উজ্জ্বল ও চকচকে চুল খুব কমজনের মধ্যেই দেখা যায়।
সিনেমায় চরিত্রের খাতিরে কখনও স্ট্রেটনার, কার্লার ইত্যাদি ব্যবহার করে হেয়ার স্টাইল করেন। অন্যদিকে অ্যায় দিল হ্য়ায় মুশকিল সিনেমার মত সিনেমায় হেয়ার কালার করতেও দেখা গিয়েছে। তা সত্ত্বেও তাঁর চুলের উজ্জ্বলতা ফিকে হয় না। এর পিছনে কী কারণ থাকতে পারে?
সিল্কি, মসৃণ , চকচকে চুলের জন্য প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী বিদেশি পণ্যের উপর নয়, ঘরোয়া উপাদানের উপর বেশি বিশ্বাস করেন। চুলের জেল্লা বৃদ্ধিতে ও সুস্থ রাখতে তিনি অ্যাভোকাডোর বিভিন্ন প্যাক ব্যবহার করেন। তাতে চুল যেমন মজবুত হয়, তেমনি ময়শ্চারাইজও করা হয়। একটি অ্যাভোকাডোভিত্তিক হেয়ার মাস্কের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত চুলের কী কী পরিবর্তন দেখা যায়,, তা নিজেই একবার ট্রাই করতে পারেন। এতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো পুষ্টিকর বৈশিষ্ট্য।
‘বাদাম তেল বা নারকেল তেল দিয়ে মাসাজ, ডিম ও অলিভ অয়েল দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক, দুধ ও মধু দিয়ে তৈরি হাইড্রেটিং মাস্ক, মায়ো ও অ্যাভোকাডো দিয়ে তৈরি ময়েশ্চারাইজিং প্যাক। ‘এই হল প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর চুলের সিক্রেট। এমনটাই ভোগ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছিলেন তিনি। নিজের চুল যদি ঐশ্বর্যার মত করতে চান তাহলে নিম্নলিখিত অ্যাভোকাডোর হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
নারকেল তেল ও অ্যাভোকাডো
একটি পাত্রের মধ্যে অ্যাভোকাডো নিয়ে স্ম্যাশড করে নিন। এবার তাতে ২টেবিল চামচ নারেল তেল যোগ করে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই হেয়ার মাস্কটি ৩০ মিনিটের রেখে দিন। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এরপ শ্যাম্পু দিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কলা ও অ্যাভোকাডো
সিল্কি চুলের জন্য এটি আরও একটি হেয়ার মাস্ক। একটি অ্যাভোকাডো ও অর্ধেক কলা নিয়ে ভাল করে পেস্ট তৈরি করুন। একটি ব্রাশ ব্যবহার করে চুলের মাস্ক ভালভাবে ব্যবহার করুন। মাথার ত্বকেও লাগাতে পারেন। ৩০ মিনিটের মত অপেক্ষা করুন। এরপর ২বার শ্যাম্পু করে চুল ভালভাবে পরিস্কার করে নিন। কলা পুরোপুরি ধুয়ে যেন যায়, তা খেয়াল রাখবেন।
এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।