ক্যারট সিড অয়েল: ত্বকের পরিচর্যায় কীভাবে কাজে লাগে এই এসেনসিয়াল অয়েল?
সাধারণত কোনও ঘরোয়া ফেস প্যাক বা ফেস স্ক্রাবের সঙ্গে এই এসেনসিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে হয়। তারপর সেই প্যাক সারা মুখে ভাল করে মেখে রাখলেই হতেনাতে উপকার পাবেন। তবে কয়েকদিন টানা এই এসেনসিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে হবে।
বিউটি টিপসের নতুন সংযোজন এসেনসিয়াল অয়েল। আজকাল বিভিন্ন ধরনের এসেনসিয়াল অয়েল দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করাই ট্রেন্ড। তবে এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়েই টি-ট্রি অয়েল কিংবা ইউক্যালিপটাস অয়েলের কথা শোনা যায়। তবে এই দু’টির বাইরেও রয়েছে অনেক ধরনের এসেনসিয়াল অয়েল। তার মধ্যে অন্যতম ‘ক্যারট সিড অয়েল’। শরীরের জন্য গাজর খাওয়া কিংবা ত্বকের পরিচর্যায় গাজরের রস বরাবরই খুব উপকারি উপাদান।
ক্যারট সিড অয়েল কীভাবে ত্বকের পরিচর্যায় কাজে লাগে?
১। যেকোনও এসেনসিয়াল অয়েলের মূল কাজ হল অ্যারোমা বা সুগন্ধের সাহায্যে মুড ফ্রেশ করা। ত্বক ভাল রাখতে হলে কিন্তু অ্যাংজাইটি, স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা এইসব দূর করা সবার আগে প্রয়োজন। নাহলে এইসবের প্রভাবে অকালে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে পারে। এমনকি সবসময় একটা জৌলুসহীন ভাবও দেখা যেতে পারে।
২। ক্যারট সিড অয়েলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। এই উপাদান বলিরেখা রুখতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বকের জেল্লা বাড়ায়। এমনকি সান ড্যামেজ অর্থাৎ সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি এবং সান ট্যানের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
৩। ক্যারট সিড অয়েলে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপকরণও ত্বকের পরিচর্যায় দারুণ ভাবে কাজে লাগে। ত্বকের মধ্যে কোনও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রুখে দেয়। ফলে স্কিন ইনফেকশন বা অ্যালার্জি, র্যাশ এইসবের সম্ভাবনা কমে যায়।
৪। এই এসেনসিয়াল অয়েলে থাকে অ্যান্তি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এর সাহায্যে ত্বকের জ্বালাভাব, র্যাশ, চুলকানি, লাল হয়ে যাওয়া এমনকি ব্রনর সমস্যাও নিমেষে দূর হয়।
আরও পড়ুন- গরমে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যায় নাজেহাল? খেয়াল রাখুন সহজ কয়েকটি টিপস
কীভাবে ব্যবহার করবেন ক্যারট সিড অয়েল?
সাধারণত কোনও ঘরোয়া ফেস প্যাক বা ফেস স্ক্রাবের সঙ্গে এই এসেনসিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে হয়। তারপর সেই প্যাক সারা মুখে ভাল করে মেখে রাখলেই হতেনাতে উপকার পাবেন। তবে কয়েকদিন টানা এই এসেনসিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে হবে। মরা কোষ তুলতে অর্থাৎ স্কিন এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে ক্যারট সিড অয়েল খুব ভাল কাজ করে। তাই যেকোনও ঘরোয়া ফেস প্যাক বা ফেস স্ক্রাবারের সঙ্গে এই এসেনসিয়াল অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের জেল্লা ফিরে আসে। এছাড়া ত্বকের মধ্যে থাকা তেল-ময়লাও উধাও হয়।