Skin Care Tips: দুধ টকে গেলে ফেলে দেন নাকি! মাখনের মত কেমল ও চকচকে ত্বক পান এইভাবে…
Skin Benefits of Sour Milk: টকে যাওয়া দুধ বাড়িতে থাকলে কীভাবে সেটি ত্বকের যত্নের জন্য কাজে লাগাবেন, তা জেনে নিন একনজরে...
২ দিনের বেশি ফ্রিজে রাখলে অনেকসময় দুধ (Milk) রাখলে তা টক হয়ে যায় অথবা নষ্ট হয়ে গেলে তা ফেলে দেওয়া হয়। কখনও কখনও দুধ ভাল ভেবে কড়াইতে দিতেই ছানা কেটে যায়। এমনটা হলে দুধ নষ্ট ভেবে ফেলে দেওয়া হয়। দুধের স্বাস্থ্য উপকারিতা (Health Benefits of Milk) প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ নাকি সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এক আশ্চর্যজনক উপাদান হিসেবে পরিচিত। অনেকেই এই ঘরোয়া টোটকাটিকে (Home Remedies) পাত্তা দেন না। কিন্তু টকে যাওয়া দুধের গুণেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে দ্বিগুণ। এমনই ক্ষমতা রয়েছে এমন দুধে। এবার থেকে নষ্ট হয়ে গেলেও দুধ ফেলে দেবেন না। টকে যাওয়া দুধ বাড়িতে থাকলে কীভাবে সেটি ত্বকের যত্নের জন্য কাজে লাগাবেন, তা জেনে নিন একনজরে…
দুধ দিয়ে স্নান করুন
টকে যাওয়া দুধ ফেলার পরিবর্তে ওই দুধ বাথটবে ঢেলে দিন। নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধের গন্ধ যদি সহ্য করতে না পারেন, তাহলে তাতে পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েলের কয়েকফোঁটা যোগ করুন। স্নানের জন্য টক দুধ ব্যবহার করলে ত্বক হবে মাখনের মতন কোমল ও মসৃণ। স্বাস্থ্য়কর ত্বকের জন্য টক দুধ বেশ উপকারী। দুধ দিয়ে স্নান করলে শুধু মুখের ত্বকই নয়, গোটা শরীরে ত্বককে পুষ্টির যোগান দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়।
ফেশিয়াল সেশনের জন্য ট্রাই করতে পারেন
টকে যাওয়া দুধে রয়েছে এনজাইম ও প্রোবায়োটিকের বৈশিষ্ট্য। ত্বকের সামগ্রিক উন্নতিতে এই উপাদান অত্যন্ত কার্যকরী। টক দুধ দিয়ে ফেসিয়াল করলে তার ফলে পাবেন আরও ভাল। এতে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা এই নামেই ফেসিয়াল হিসেবে পরিচিত। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য এই ফেসিয়াল খুবই উপকারী। মুখে টক দুধ দিয়ে ফেসিয়াল করতে চান, কয়েক মিনিটের জন্য দুধ নিয়ে ত্বকের উপর ম্যাসাজ করুন। তাতে ত্বক হবে মসৃণ ও টানটান। ত্বকের উপর ট্যানগুলিও নিমেষের মধ্যে দূর হবে। ত্বকের মধ্যে উজ্জ্বলভাবও তৈরি হবে এতে।
ত্বকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে
টকে যাওয়া দুধে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিডের গুণ। ত্বকের উপর ব্রণ, ফুসকুড়ির মত সমস্যা তৈরি হলে টক দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ত্বকের অন্যান্য সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতেও এই নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ ব্যবহার করতে পারেন।
শুষ্ক ত্বকের জন্য সেরা উপাদান
অনেকেই ভাবতে পারেন, নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক আরও নষ্ট হয়ে যাবে। যদি তাই মনে করে থাকেন, তাহলে তা একেবারেই ভুল ধারণা। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থালে টকে যাওয়া দুধ নিয়ে ত্বকের উপর ম্যাসাজ করলে তা নিমেষের মধ্যে নিরাময় হয়। ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে ও শুষ্কতা দূর করতে এই দুধের গুণের শেষ নেই। শুষ্কতা দূর করতে একটি উপকারী ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। একটি পাত্রের মধ্যে এক চামচ টকে যাওয়া দুধ, একটি কলা ও এক চা চামচ মধু যোগ করে অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়া ত্বকের প্রয়োগ করুন। ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিয়ে অপেক্ষা করুন। এরপর মুখে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এই ফেসপ্যাকের গুণে ত্বকে আসবে কোমল ও উজ্জ্বলভাব। দূর হবে ট্যান ও শুষ্কভাব।
পায়ের ত্বক পরিষ্কারে জন্য
ব্যস্ত দিনের ক্লান্তি কাটাতে একটি বালতিতে গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখলে আরামবোধ হয়। তবে এবার শুধু গরম জল নয়, তাতে ফেলুন নষ্ট হয়ে যাওয়া টক দুধ। তাতে পা কয়েক মিনিটের জন্য রেখে দিলে পা ফাটা, পায়ের শুষ্কভাব দূর হয়। শুধু তাই নয়, পাকে প্রাকৃতিকভাবে ময়েশ্চারাইজড করতে বিশেষ কার্যকরী এই উপকরণ।