ত্বক ও চুল ভাল রাখার জন্য সব সময়ই ত্বক ও চুলের যত্ন নিয়ে চলেছেন? এটাই কিন্তু যথেষ্ট নয়। আপনার জীবনশৈলীর দিকেও নজর দিতে হবে। আপনার ডায়েটেও লক্ষ্য রাখতে হবে। ডায়েটে যেন এমন কোনও খাবার থাকে (Healthy Diet), পর্যাপ্ত পরিমাণে জল থাকে। যা আপনার চুল ভাল ও জেল্লাদার (Healthy and Shiny Hair) রাখে। আপনার স্ক্যাল্প, চুল ভাল রাখার জন্য যেমন সরাসরি যত্ন নিতে হবে, একইভাবে ডায়েটেও নজর দিতে হবে। আপনার প্রয়োজন হবে ভিটামিন যুক্ত খাবার এবং প্রোটিন। ভাল চুলের জন্য় ডায়েট মেনে চলতে তো হবেই। তাহলে আর দেরি না করে, চলুন জেনে নেওয়া যাক স্ক্যাল্প ও চুল ভাল রাখার জন্য কী কী খাবার আপনার দৈনিক ডায়েটে থাকা প্রয়োজন (Diet for Healthy Hair)…
ডিম:
শরীরকে ভাল রাখার পাশাপাশি চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে ডিমের উপকারিতা অনেক। তাই প্রতিদিন ডায়েটে যেন ডিম থাকে। কারণ ডিমে রয়েছে বায়োটিন এবং ভিটামিন বি সহ আরও একাধিক উপাদান। যা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং চুল পড়ার পরিমাণ কম করার জন্যেও এই উপাদানগুলি নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।
সবুজ শাক-সবজি:
আপনি কি চুল পড়ার সমস্যায় নাজেহাল হলে এবার আপনাকে একটু সতর্ক হতেই হবে। আপনার ডায়েটে নজর দিতে হবে। রোজ ডায়েটে পালং শাক, ব্রকোলি, লেটুসের মতো নানা রকম সবুজ শাক-সবজি আপনাকে খেতে হবে। এই প্রাকৃতিক উপাদানে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি ও এ। এই দুই ভিটামিন সেবামের উৎপাদন বাড়ায়। যা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে। স্ক্যাল্প ও চুলের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। ফলে চুল ভাল থাকে।
গাজর:
এখন সারা বছরই গাজর পাওয়া যায়। আপনি স্যালাড খেলে গাজর অবশ্যই খাবেন। এটি যেমন আপনার শরীর ভাল রাখে, একই সঙ্গে আপনার চুলও ভাল রাখে। এর মধ্যে আছে ভিটামিন এ। স্ক্যাল্পের সেবাম উৎপাদন বাড়ায়। চুলের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরে আসতে কোনও সময় লাগে না।
মাছ:
বাঙালিকে আলাদা করে মাছ খাওয়ার কথা নিশ্চয়ই বলে দিতে হয় না। মাছ ছাড়া বাঙালিকে ভাবাই যায় না। প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি, এই দুটি উপাদান চুলের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মাছে এই দুই উপাদানই প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও। যা স্ক্যাল্প এবং চুলের যত্নে নানা ভাবে সাহায্যে করে। প্রতিদিন আপনার ডায়েটে অন্তত একটা মাছ থাকতেই হবে।
গ্রিন টি:
গ্রিন টি-তে আছে পলিফেনল। এটি স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এতে আছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। চুলকে মজবুত রাখতে নানাভাবে সাহায্য করে। এই দুটি উপাদান চুলের সৌন্দর্যতা বাড়াতেও দারুন কাজে আসে। প্রতিদিন গ্রিন টি-র সাহায্যে চুল ধোয়া যায়, তাহলে তো কথাই নেই। এইভাবে খুশকির সমস্যাও দূর করতে পারেন আপনি।
তথ্যসূত্র: পপএক্সো
আরও পড়ুন: Spring Skincare Tips: বাতাসে এখন বসন্তের আনাগোনা! ত্বকের দেখভাল করতে কী কী বিষয় মাথায় রাখবেন, জানুন